তালা ভেঙে ইবির আবাসিক হলে চুরি, ক্ষতিপূরণ দাবী

0
184

ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল, শেখ রাসেল হল, জিয়া হলের পর এবার খালেদা জিয়া হলে তালা ভেঙে চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সহ আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় হলের ডাইনিং সহ ৯ কক্ষের তালা ভাঙা পাওয়া গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং কি চুরি হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চুরির বিষয় নিশ্চিত হতে সকালে সরেজমিনে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ

নিরাপত্তা রক্ষীদের ভাষ্যমতে, বাথরুমের তালা ভেঙে খালেদা জিয়া হলের চোর ভেতের প্রবেশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়েছি। সরেজমিনে যেয়ে দেখে মনে হচ্ছে চুরিই হয়েছে। পেছনের ভেন্টিলেটর ভেঙে চোর হলের ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছি।

হলের প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয় থানায় এ বিষয়ে হলের হাউস টিউটর মাহবুবা সিদ্দিকা একটি জিডি করেছেন বলে জানিয়েছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে এ বিষয়কে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। শাখা ছাত্র ইউনিয়ন চুরির বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে, সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে।

এছাড়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটলো। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার চুরির ঘটনা। আমরা এখনো জানতে পারছি না কারা, কবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ আমরা আমাদের মূল্যবান সামগ্রী হারিয়েছি, এ দায় কার?

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি প্রক্টর দেখেন। তাকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। কারা এর সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here