খবর৭১ঃ রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ১৪ জনের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, নাটোরের চারজন এবং পাবনা, জয়পুরহাট ও চুয়াডাঙ্গার একজন ছিলেন। এর মধ্যে রাজশাহীর দুজন, নাটোরের তিনজন এবং পাবনার একজনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্যরা মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন সর্বোচ্চ ৫২২ জন। হাসপাতালে মোট করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা এখন ৪৫৪টি।
ঈদুল ফিতরের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। শনাক্তের হার ৬০ শতাংশের উপরে উঠলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে গত ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। কিন্তু তার মধ্যেও কমছে না করোনার প্রকোপ।
গত ২৯ জুন রামেকের করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল রামেকে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড।
চলতি মাসের ১ জুলাই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে, যা ছিল একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত ২ জুলাই হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে মারা যান ১৭ জন। ৩ জুলাই ১৩ জন, ৪ জুলাই ১২ জন, ৫ জুলাই ১৮ জন, ৬ জুলাই ১৯ জন, ৭ জুলাই ২০ জন, ৮ জুলাই ১৮ জন, ৯ জুলাই ১৮ জনের মৃত্যু হয়।