১১ দিন রক্ত ঝড়ানো সংঘাত শেষে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর

0
269

খবর৭১ঃ ১১ দিনের রক্ত ঝড়ানো সংঘাত শেষে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সন্ধি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা) এটি কার্যকর হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

চুক্তিতে সাক্ষরকারী ইসরাইল ও হামাস উভয়পক্ষ বলেছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তির কোনোরূপ লঙ্ঘন হলেই শক্ত জবাব দেওয়া হবে। মধ্যস্ততাকারী মিসর জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণে দুই জায়গায় দুটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা।

এদিকে, ১১ দিনের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় গত ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি হামলায় আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় পার করেছেন প্রতিটি মুহূর্ত। অস্ত্রবিরতির খবরে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা গাজার রাস্তায় নেমে আসেন। মসজিদগুলোর মাইকে মাইকে ঘোষণা করা হয়, ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

অস্ত্রবিরতির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার। গত ১১ দিনের হামলা চলাকালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ভূমিকা অনেকটাই গুরুত্বহীন ছিল। হামাস ফাতাহ দ্বন্দ্বে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ক্ষমতাসীন ফাতাহ দলের নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, ‘মিসরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শক্তির যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাফল্যকে আমরা স্বাগত জানাই।’

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এবারের সহিংসতায় ২৪৪ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নারী ও শিশু। নিষ্পাষ ৬৫ শিশুকে হত্যা করেছে তারা। আহত হয়েছে ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলের দাবি, গাজায় তাদের হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। অবশ্য ইসরাইলি হামলায় সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি। ইসরাইলের ভাষ্য, সংঘাতে গাজা থেকে প্রায় ৪ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। রকেটে ২ শিশুসহ অন্তত ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে অন্তত ৩৩০ জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here