ঈদের দিনে কী পরিমাণে খাবার খেতে হবে

0
231

শেষ হলো পবিত্র মাহে রমজান। একমাস খাবার খাওয়ার নিয়মে আবার পরিবর্তন আসবে। রোজার পর ঈদের দিনে নানা স্বাদের খাবার রসনার তৃপ্তি মেটায়। অনেকেই অতিরিক্ত ভুড়িভোজ করে ফেলেন। এতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঈদের দিন ও ঈদের পরে সুস্থ থাকতে খাবার খেতে হবে একটু হিসাব করে।

যদি এসময় খাবারে নিয়ম মানা না হয় তাহলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। যেমন: বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি বা গ্যাস, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি। তাই ঈদের মেন্যুতে সবারই উচিত পুষ্টি ও স্বাদের সমন্বয় করা।

সকালের নাশতা

সকালে পরিমিত পরিমাণে সেমাই,পায়েস, জর্দা খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে আধা ঘন্টা পর যে কোনো একটি ফল বা ফলের সালাদ খেতে পারেন। যারা ডায়াবেটিক রোগী তারা অতিরিক্ত শর্করা খাবেন না।

দুপুরের খাবার

ঈদের দিন দুপুরে সময়মত খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না। এই ব্যপারে সবারই সচেতন হওয়া উচিৎ। যারা ডায়াবেটিক রোগী, তাদের অবশ্যই সময়মত খাবার খেতে হবে। সবার ক্ষেত্রেই অবশ্য সময় মতো খাবার খাওয়ার বিকল্প নাই। সময়মতো না খেলে অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, মাথাব্যথা, বদহজম ইত্যাদি।

খেয়াল রাখবেন, দুপুরে যেন খুব বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়া না হয়। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি যাই খাওয়া হোক না কেন তা অল্প তেলে রান্না হতে হবে। সাথে মাংস খেলে যে কোনো এক ধরনের খেতে হবে। যেমন, মুরগি, গরু, খাসির মাংসের যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।

সঙ্গে যে কোনো সবজি বা সালাদ অবশ্যই রাখতে হবে। সালাদ এ টক দই ব্যবহার করলে খুবই ভালো হবে।

রাতের খাবার

রাতের খাবার ও হালকা হতে হবে। তাই রাতের খাবারের তালিকা এমন রাখতে হবে যেন পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তিভাবটাও চলে যায়। ভাত অথবা রুটির সঙ্গে যে কোনো একটা তরকারি নিতে হবে। সেটা হতে পারে মাংস অথবা ডালের সঙ্গে সবজি। একটি টক ফল অথবা একটি শশা থাকবে সঙ্গে।

মনে রাখা ভালো, প্রচুর পানি, তাজা ফলের রস বা ডাবের পানি খেতে পারেন। ঈদের দিন বাইরের ফাস্ট ফুড থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। সবশেষে, এই গরমে সবার ঈদ কাটুক অনাবিল আনন্দে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here