খবর৭১ঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ চলছে সারাদেশে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ লোক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩১ লাখের বেশি মানুষ।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫২ জন। সবমিলিয়ে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫২৫ জন।
মোট টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ২০ লাখ ১২ হাজার ১৮১ জন। আর নারী ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৪ জন। রবিবার যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ হাজার ১৫৫ পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৫৯৭ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদানের প্রচারাভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ জন নিবন্ধন করেছেন। ঢাকা শহরের ৫০টি এবং রাজধানীর বাইরে ১০০৫টি হাসপাতালে সপ্তাহের শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার ঢাকা মহানগরীতে টিকা নিয়েছেন ২৫ হাজার ৭১ জন। এই মহানগরীতে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন চার লাখ ৪৫ হাজার ৩২৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন দুই লাখ ৯২ হাজার ৪৮৫ জন। আর নারী এক লাক ৫২ হাজার ৮৪১ জন।
সারাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে একদিনে টিকা নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৪৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৮ হাজার ৬৪৬ জন ও নারী ১৭ হাজার ২৯৯ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে চার হাজার ১২৯জন টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২৯৬ জন আর নারী এক হাজার ৮৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ২৪ হাজার ৭৩৩ জন। এই বিভাগে পুরুষ ১৪ হাজার ৫৮০ জন আর নারী ১০ হাজার ১৫৩ জন টিকা নিয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৮৭৯ জন টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ৮৫৫জন পুরুষ আর নারী পাঁচ হাজার ২৪ জন। রংপুর বিভাগে মোট ১০ হাজার ২৫৭ জন টিকা নিয়েছেন। পুরুষ নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৮২ জন আর নারী চার হাজার ২৭৫ জন। খুলনা বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৪৫৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৫৪ জন আর নারী সাত হাজার ৯০২ জন। বরিশাল বিভাগে টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৩২১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৩০৪ জন আর নারী দুই হাজার ১৭ জন। আর সিলেট বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৩২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৯৩৮ জন আর নারী দুই হাজার ৯৪ জন।
গত ২৭ জানুয়ারি একজন নার্সকে টিকাদানের মধ্য দিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণটিকাদান। বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে। প্রথম টিকা গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।