স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট: মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে। পুস্পস্তবক হাতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ এসেছেন শহীদ মিনারে।
রবিবার (২১ র্ফেরুয়ারি) প্রথম প্রহর অর্থাৎ ঘড়ির কাটায় ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই শহীদ মিনারের বেদিতে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ, বাগেরহাট জেলা পরিষদ, বাগেরহাট পৌরসভা, বাগেরহাট জেলা বিএনপি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সরকারি পিসি কলেজ, সেচ্ছাসেবক দল,বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউট, গণপূর্ত বিভাগ, বাগেরহাট সড়ক বিভাগ, এলজিএইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপরেই ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধায় শত শত পুষ্মমালায় ভরে যায় শহীদ মিনারের বেদি।
এ সময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দোকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ভুঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, মীর ফজলে সাইদ ডাবলু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, যুগ্ন আহবায়ক শেখ ফরিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি দলীয় নেতা কর্মীসহ হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্মমাল্য অর্পণ করা হয়।
তবে করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলেও বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনারে আসতে দেখা গেছে। সকালে শহীদ মিনার উন্মুক্ত থোকবে, জন সমাগমের এই স্থানে সবাইকে মাস্ক পরে আসার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।