শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোলে পুলিশের অভিযানে ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ফিরোজ হোসেন (৩৮) ও মনির হোসেন (৩০) নামে কুখ্যাত ২ মাদক সম্রাট আটক হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে অভিনব কায়দায় বেনাপোলের কেলেরকান্দা হতে ১০৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ফিরোজকে এবং বারপোতা এলাকা থেকে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মনিরকে আটক করা হয়।
আটককৃত ফিরোজ বেনাপোল পোর্ট থানার কেলেরকান্দা এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং মনির বৃত্তিআঁচড়া গ্রামের ফয়জুল রহমানের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোলের এক রাজনৈতিক নেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেলেরকান্দার ফিরোজ ফেন্সিডিল, ইয়াবা, মদ, গাজাসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা করে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংশ করছে। প্রতিবেশিরা বারংবার তাকে নিষেধ করলেও তা আমলে না নিয়ে বরং হুমকি-ধামকি দেয় সে। এরপূর্বে অনেকবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করেছে কিন্তু আইনের আঁচর লাগেনি তার। অজ্ঞাত কারণে ছাড় পেয়েছে মামলা থেকে বরং থেমে থাকেনি তার মাদকের রমরমা কারবার। পরের দিন থেকে স্বদাপটে চালিয়ে যায় তার অলিখিত ট্রেড লাইসেন্সের মাদক ব্যবসা।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রিয়েল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১২টার পরে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ বেনাপোলের কেলেনকান্দা এলাকার কুখ্যাত মাদক স¤্রাট ফিরোজের বাড়িতের অভিযান পরিচালনা করি। একপর্যায়ে ফিরোজের শিকারোক্তিতে তাদের রান্নাঘরে চুলার পাশে বিশেষ কায়দায় গর্তকরে লোকানো কলসি জাতীয় হাড়ার ভিতর থেকে (যা শীল-পাটা দিয়ে ঢাকনা দেওয়া ছিলো) ১০৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে মাদক আইনে মামলা করি।
অপরদিকে, একইরাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারপোতা এলাকায় ওৎপেতে থেকে ভারত থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে ফেরার সময় ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ মনির হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় তার আরেক সঙ্গী পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে, থানায় এসে মনির হোসেনসহ পলাতক আরেক জনকে আসামী করে মাদক আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। মনিরের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় আরো তিনটি মাদক মামলা আছে এবং সে একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানালেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। রবিবার সকালে তাদেরকে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।