খবর৭১ঃ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোটভাই ফায়াজকে মারধর করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন বলেও তিনি জানান।
এসময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ বলেন, কুষ্টিয়ার অ্যাডিশনাল এসপি তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছেন। এবং গতকাল তার ভাইয়ের জানাজার সময় বলেছিলেন দুই মিনিটে যেন জানাজা শেষ করা হয়।
ফায়াজ বলেন, আমি আবরারের ছোট ভাই। আজ আমাদের এখানে ভিসি সাহেব এসেছিলেন। এখানে এসে তাঁর আমার মা’র সাথে দেখা করা উচিত ছিল। তিনি এখানে দেখা করতে তো আসলেনই না বরং তিনি যখন ফিরে যাচ্ছিলেন এবং আমি তাঁর সাথে কথা বলতে যাই। তখন এখানকার দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান আমার বুকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন এবং কালকেও যখন আমার ভাইয়ের জানাজা হয় তখন তিনি বলেছিলেন দুই মিনিটের মধ্যে জানাজা শেষ করতে হবে। কিভাবে তিনি এটা বলেন? আজ এখানে আমার ভাবি ছিল, তাঁকে বেধড়কভাবে পুলিশ দিয়ে মারা হয়েছে। তার কাপড়-চোপড় টেনে তাঁর শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ?
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আবরারের বড় ভাই ভিসি সাহেবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে হাত তুলেছিলেন। মোস্তাফিজ (অ্যাডিশনাল এসপি, ডিএসবি) সেটা ঠেকিয়েছেন। এটাই তার অপরাধ। দুই মিনিটে জানাজা শেষ করতে হবে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, দুই মিনিটে জানাজা করার প্রশ্নই উঠে না। যেটা সম্ভব না সে কথা কিভাবে বলবে।
পুলিশ যেন ভিক্টিমাইজ না হয়, সেজন্য আমরা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম), উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ভিসি সাহেবের সাথে ওই স্থানে যাই। এরপরও এমন একটা অভিযোগ কেন উঠলো। বুঝতে পারলাম না।