উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: পাষন্ড শিক্ষক তামান্না খানমের বেতের আঘাতে মোরছালিনা নামে এক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নড়াইলের কাশিপুর এসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। সে ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দিন সকালে স্কুলে আসার পথে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ইমরান শরীফ নামের এক বখাটে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় বখাটে ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানা টানি করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে বখাটের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে স্কুলে চলে আসে। বখাটে ইমরান শরীফ একই বিদ্যালয়ের সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে উপজেলার ধোপাদাহ গ্রামের গান্দু শরীফের ছেলে।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানম দাপ্তরিক ভাবে ওই বখাটের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীর ওপর চড়াও হয়ে বেতাঘাত করে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। আহত শিক্ষার্থীর মা তাছলিমা বেগম বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচারের দাবি জানালে শিক্ষক তামান্না স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে শালিশ মিমাংসার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানম ছাত্রীকে মারপিটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বহিরাগত ছেলেদের সঙ্গে মোরছালিনার আপত্তিকর সম্পর্ক থাকার জন্য তাকে বেত দিয়ে কয়েটা বাড়ি দিয়েছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার (১৮ মার্চ) ‘শিক্ষার্থীকে মারধোরের বিষয়টি আমি শুনেছি যা অত্যান্ত দু:খজনক। এটা মোটেও কাম্য নয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুর রহমান, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে অবহিত করেননি। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোন ভাবেই প্রহর করার নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।’
খবর৭১/ইঃ