ধানের শীষের প্রচারনা অফিস ভাঙচুর

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি-
ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সোমবার রাতে মোহাম্মদ আলী নামে এক শ্রমিক নেতা বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। ৩৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ইতিমধ্যে পুলিশ-বিজিপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেফতারকৃরা হলেন- রাজিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, তারুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন, লিটন মাস্টার, উচাখিলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মেম্বার, আঠারবাড়ি যুবদলের সভাপতি হিরা। এনিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় পার্টি ও যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, সোমবার রাতে মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয়ে মহাজোটের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এর আগে উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের রায়েরবাজার গোহাটার পাশে অবস্থিত নির্বাচনী কার্যালয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে হামলা চালায়। এসময় কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত নেতা কর্মীদের বেধরক মারধর করে তারা। এ ঘটনায় আঠারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক জিয়াউল হক, যুবদল নেতা বকুল, কৃষক দল নেতা মমতাজ উদ্দিন ভূইয়া গুরুতর আহত সহ ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বলেন, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধর করার পরও বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচরণা চালাচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজারো মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে। জনতার শক্তিই আমাদের ভরসা। হামলাকারী দুর্বৃত্তরা আমাদের ভীত করতে পারবে না। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির সক্রিয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরও জনসাধারণ এবং কর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা ৩০ ডিসেম্বর ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবো।