মো. আবু সাইদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় দুই ষাঁড়ের ভয়ে পথচারীরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ধর্মের নামে ছেড়ে দেওয়া এ সকল ষাঁড়ের কারণে পথচারীরা নির্বিঘেœ পথ চলতে পারছেন না। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও ও অভিভাবকরা চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ষাঁড়ের আক্রমণে উপজেলার ঠুকনিপাড়া গ্রামের মৃত রসিকলাল এর পুত্র বিকল্প কুমার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে মানুষের আতংক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে বছর তিনেক আগে ধর্মের নামে ছেড়ে দেওয়া একটি ষাঁড় পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ঠুকনিপাড়া মোড়ে এসে আশ্রয় নেয়। ঠুকনিপাড়া মোড়ে হিন্দু ধর্মাম্বলী মানুষের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় তাঁরা খাবার দিয়ে ষাঁড় টিকে লালন পালন করতে থাকে। আর এর সুযোগে ষাঁড়টি সেখানে নিরাপদ আশ্রয় করে নেয়। মাঝে মধ্যেই ষাঁড়টি পথ চারীদের তাড়া করলেও ধর্মীয় কারণে ষাঁড়টিকে কেউ কিছু করে না। এরই মধ্যে প্রায় ৩মাস পূর্বে ষাঁড়ের আক্রমণে ঠুকনিপাড়া গ্রামের বিকল্প কুমার মারাত্বক আহত হয় এবং মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই ষাঁড়টি এলাকার মানুষের কাছে আতংকে পরিণত হয়। সম্প্রতি উক্ত মোড়ে আরো একটি ধর্মের ষাঁড় যোগ দেওয়ায় এবং মাঝে মধ্যেই দুই ষাঁড়ের মধ্যে তুমুল লড়াই হওয়ায় মানুষের আতংক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে নজিপুর কারিগরী কলেজের প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান জানান, ষাঁড়ের ভয়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা একা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, দুই ষাঁড় সংঘর্ষ লাগলে মানুষকে সবকিছু ফেলে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে হয়। অনেক সময় ষাঁড়গুলো অতর্কিতভাবে পথচারীদের তাড়া করে। ঠুকনিপাড়া মোড়ের কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ এলাকার সচেতন মানুষ স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ধর্মের ষাঁড় দুটিকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
খবর ৭১/ই: