খবর৭১ঃওয়ানডে ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে দলের বাইরে থাকা সৌম্য শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে ফিরেই দুর্দান্ত শুরু করে করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ৩৫তম ম্যাচে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার।
একদিনের ক্রিকেটের পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালের এপ্রিলে ঢাকায় সেঞ্চুরি (১২৭) করেছেন সৌম্য। ওয়ানডেতে সাতটি ফিফটির পাশাপাশি তার একটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৯.৩ ওভারের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান। ৬৬ ও ৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ইমরুল ও সৌম্য।
টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের সামনে বাংলাদেশ দল।
ইমরুল-সৌম্যর জুটিতে ১০০
ইনিংসের প্রথম বলে লিটন দাসের বিদায়ের পর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইতিমধ্যে ১০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন ইমরুল কায়েস। ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইমরুল। আর সপ্তম ফিফটির পথে রয়েছেন সৌম্য।
ইমরুলের ১৭তম ফিফটি
দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। প্রথম ম্যাচে ঢাকায় সেঞ্চুরি (১৪৪) করা কায়েস, গত বুধবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১০ রানের জন্য শতরান করতে পারেননি। ফেরেন ৯০ রান করে। আজ শুক্রবার সিরিজের শেষ খেলায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ইমরুলের ১৭টি ফিফটির পাশাপাশি ৩টি সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে ৩৪ ম্যাচ খেলে তিনটি সেঞ্চুরি এবং ৪টি ফিফটির সাহায্যে ১ হাজার ৬৭৯ রান করেছেন কায়েস।
প্রথম বলেই সাজঘরে লিটন
জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে ২৮৭ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে লিটন দাস। আগের ম্যাচেও দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে লাইফ পান তিনি। তবে এদিন আর সেই ভাগ্য কাজে আসেনি লিটনের।
আগের ম্যাচে ৮৩ রান করা বাংলাদেশ দলের এ ওপেনার শুক্রবার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ফেরেন শূন্য রানে। কাইল জার্ভিসের বলে গোল্ডেন ডাক পান লিটন।
জিম্বাবুয়ে ২৮৬/৫
সূচনালগ্নেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে সফরকারীদের চেপে ধরেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সিফাস জুওয়াও ক্লিন বোল্ড করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ইনসাইড এজ করে প্যাভিলিয়নে পধ ধরান আবু হায়দার রনি।
৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে পরক্ষণে প্রতিপক্ষের ওপর সেই চাপটা ধরে রাখতে পারেননি টাইগার বোলাররা। তারা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও দারুণ খেলেন ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস। তাদের সোজা ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
একপর্যায়ে রীতিমতো চোখ রাঙাতে থাকেন এ জুটি। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। হার মানেন টেইলর। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৭২ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এটি তার ক্যারিয়ারের ৩৬তম ফিফটি। এ নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি হাঁকান তিনি। টেইলরের বিদায়ে ভাঙে ১৩২ রানের জুটি।
পরে উইলিয়ামসকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন সিকান্দার রাজা। মূলত এতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দুজনের জোটে দুরন্ত গতিতে ছুটে তারা। কিন্তু হঠাৎই হার মানেন রাজা। নাজমুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৫১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন এ অলরাউন্ডার।
রাজা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান উইলিয়ামস। টাইগার বোলারদের শাসাতে থাকেন তিনি। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২য় সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা।
শেষদিকে তাকে সঙ্গ দেন পিটার মুর। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। ২১ বলে ২ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলে ফেরেন মুর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করে লালচাঁদ রাজপুতের দল। উইলিয়ামস ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় এ হার না মানা ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
অপর প্রান্তে ১ রানে অপরাজিত থাকেন এল্টন চিগুম্বুরা। বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল ইসলাম ২টি এবং সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার নেন ১টি করে উইকেট। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন টাইগাররা।
খবর৭১/এসঃ