খবর৭১:মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর(নীলফামারী) থেকে সৈয়দপুরে র্যাব ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশী মদ, বিয়ার ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের অভিজাত মার্কেট সৈয়দপুর প্লাজায় র্যাব ও নিয়ামতপুর বাসটার্মিনালের খালেক পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, শহরের অভিজাত মার্কেট সৈয়দপুর প্লাজার ২য় তলায় অবস্থিত বৈশাখী কনফেকশনারীতে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল হাতিখানা ক্যাম্প সংলগ্ন স্মৃতিসৌধ এলাকার মৃত সোলেমানের পুত্র কনফেকশনারী মালিক মো. পারভেজ (৩৮)। এমন তথ্য ছিল র্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্প সিপিসি-২ এর কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা বৈশাখী কনফেকশনারীতে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে তল্লাশী চালিয়ে ১১ ক্যান বিয়ার ও ৩ বোতল বিদেশী ভোদকা মদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় কনফেকশনারী ব্যবসায়ী পারভেজকে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ক্যান্ট. বাজার এলাকার লাম-মিম স্টোরে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তারাগঞ্জ উপজেলার ধনিপাড়া এলাকার মৃত আবু বক্করের পুত্র মাদক সরবরাহকারী ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফেরদৌস ওরফে রাখালকে (২৮) গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
এদিকে একই দিন সন্ধ্যায়, সৈয়দপুর থানা পুলিশ হৃদয় (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮ পিস ইয়াবা। ওইদিন শহরের নিয়ামতপুর বাসটার্মিনালের খালেক পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন ওই এলাকায় মাদক বেচাকেনা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। ওই মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামির বাড়ি এলাকায়। সে ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র।
খবর৭১/জি