খবর৭১ঃপররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে দেওয়া ৮ হাজার রোহিঙ্গার প্রথম তালিকা যাচাই করে তাদের স্বীকার করেছে মিয়ানমার।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে সরকারি দলের প্রতিনিধিরা এই মাসের শেষেই বাংলাদেশে আসছেন। তখন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি জানান, বলার মতো নতুন কিছু নেই। প্রক্রিয়া চলছে। রোহিঙ্গাদের নেওয়ার পর তাদের থাকার জন্য রাখাইন প্রদেশে তাদের গ্রামে ঘর তুলতে হবে। এক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে ভারত। রাখাইনের মংডু এলাকায় যেখানে রোহিঙ্গাদের বাস, সেখানে ঘর তৈরিতে সহযোগিতার জন্য চীনকেও অনুরোধ করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রথম তালিকায় ১৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ২ জন রোহিঙ্গার নাম পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই চুক্তিতে দুই বছরের মধ্যে ৭ লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও মাত্র আট হাজারের প্রথম তালিকা যাচাই করতেই অনেক সময় নিল মিয়ানমার সরকার।
বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকলেও এই চুক্তি অনুযায়ী শুধু গত বছরের অগাস্টের পর থেকে আসা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে ছিল চার লাখের মতো রোহিঙ্গা। গত বছরের অগাস্টে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ সীমান্তে নামে রোহিঙ্গাদের ঢল।
জাতিসংঘের ভাষায় মিয়ানমারে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’র মুখে শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
খবর৭১/এসঃ