প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্বামীর দেয়া অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন মৌসুমী বেগম (২২) নামে এক নারী। উপজেলার জলিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় বেশ চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শেখের ছেলে মো: হোসেন শেখ (২১) এর সাথে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে মৌসুমী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা দু’জনে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিল। এরমধ্যে তারা জলিরপাড় গ্রামে বংশী বাকচীর বাড়ীতে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। এ সুবাদে বাড়ীর মালিক বংশী বাকচীর সাথে মৌসুমী বেগমের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি মৌসুমীর স্বামী হোসেন শেখ জানতে পেরে গালমন্দ করেন। এতে বাড়ির মালিক বংশী বাকচী ক্ষিপ্ত হয়ে হোসেন শেখকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির মালিক বংশী বাকচীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন হোসেন শেখ। মামলায় বাড়ির মালিক বংশী বাকচী তার বাড়ি থেকে হোসেন শেখের স্ত্রী মৌসুমী বেগমকে অপহরণ করে দূরে কোথাও নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, এর তিনদিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর হোসেন শেখের স্ত্রী মৌসুমী বেগম তার পরকীয় প্রেমিক বংশী বাকচীকে হোসেন শেখের মামলা থেকে বাঁচাতে নিজে বাদী হয়ে আদালতে উল্টো স্বামী হোসেন শেখ ও প্রতিবেশী মহিউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায়, হোসেন শেখ তার স্ত্রী মৌসুমী বেগমের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়–য়া ছোট বোন সুমাইয়া খানমকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে উল্লেখ্য করা হয়।
বংশী বাকচী একজন দুশ্চরিত্র লোক। একাধিকবার এলাকায় নানা অসামাজিক কার্যকলাপ এবং অপকর্ম করে জরিমানা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বংশী বাকচীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মৌসুমী বেগম মামলার বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
খবর৭১/ইঃ