উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: সেই অশীতিপর মাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর ছেলে ও পুত্রবধু মিলে পরিবারের বোঝা মনে করে বাঁশবাগানে ফেলে দেয়া সেই ৯০ বছরের অশীতিপর মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এর আগে গত শনিবার সকালে পুলিশ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান। এদিকে রবিবার রাত ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন মেডিকেল অফিসার অলোক কুমার বাগচী। বৃদ্ধা মা বর্তমানে হাসপাতালের দ্বোতলায় ৮নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে বৃদ্ধা মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন না করে বাগানে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আটক বড় ছেলে ডাহু শেখ ও মেয়ে কুলসুম বেগমকে রবিবার বিকালে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। তবে ছোট ছেলে রাবু শেখ শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার মুল নায়ক মেঝো ছেলে বাবু শেখ ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলার জেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের কুচিয়াবাড়ী গ্রামের প্রায় ৯০ বছর বয়সী ৫ সন্তানের জননী ফুলোজী বেগমকে তার মেঝো ছেলে বাবু শেখ ও পুত্রবধু মিলে বাড়ি সংলগ্ন বাঁশবাগানে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে ছোট ছেলে রাবু শেখের পরিত্যক্ত ঘরের বারান্দায় শুইয়ে রাখে। এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুক সহ বিভিন্ন অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হতে থাকে। এদিকে বৃদ্ধা মাকে হাসপাতালে দেখতে যান নড়াইল জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র, লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার নূর ইসলাম সিদ্দিকসহ অনেকে। এসময় বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা সেবার খোঁজখবর নেয়া হয় এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন তারা।
খবর৭১/ইঃ