উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে কুকুরের শহর। যত্রতত্র কুকুরের আনাগোনায় পথ চলা মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। কুকুরের প্রজনন সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লোহাগড়া পৌরশহরসহ জেলাব্যাপী তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। উচ্চ আদালত থেকে কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পথচারীরা সমস্যায় পড়েছে। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ফলে পৌরসভা কতৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুকুরের কামড়ে মানুষ অহরহ আহত হচ্ছে। হাসপাতালে গত কয়েক মাসে প্রায় দেড় শতাধিক কুকুরে কামড়ানো রোগী এসেছে, কিন্তু হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর কোন চিকিৎসা না পেয়ে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে অভিভাবকদের। প্রতিদিন এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোন মাথা ব্যাথা নেই হাসপাতাল কতৃপক্ষের। নড়াইল ও লোহাগড়া পৌরসভায় কুকুরের শহর যেন। গ্রামের মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে অপচিকিৎসার দিকে ঝুকে পড়ছে। ফলে খাপড়া পড়া পানি পড়াসহ বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধ সেবন করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরশহর ছাড়াও প্রতিটি গ্রামে অসংখ্য কুকুর রয়েছে। এই কুকুরের বন্ধ্যাকরণ বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন দেয়ার কথা থাকলেও সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদেও কোনো প্রতিষেধক নেই। বিষয়টি নিয়ে লোহাগড়া পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান,পৌর এলাকায় যে হারে কুকুরের উপদ্রুপ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানুষ প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। অন্যদিকে, কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশনও আমরা পাচ্ছি না। ফলে সব মিলিয়ে আমরা কঠিন বিপদের মধ্যে আছি।।