দুপচাঁচিয়া(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের বড় চাপড়া গ্রামের আব্দুল ুমান্নানের স্ত্রী গৃহবধূ আফরুজা বেগম(৩০)কে গত ১২সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে দূর্বৃত্তরা জবাই করে হত্যা করে। ১৩সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। ওইদিনই নিহতের বাবা আবু তালেব বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ১৪সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে বড়চাপড়া গ্রামের মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন(৫০) ও আলতাফনগর বাজার এলাকার মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ওরফে পাইতে(৫২)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এর নিকট হাজির করলে আসামীদ্বয় হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আসামী জসিম উদ্দিন জানায়, তার ছেলে মোহন শাহ গত ১৪জুলাই হত্যাকান্ডের শিকার আফরুজা বেগমের বড় মেয়ে মনিকা আক্তার (১০) কে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নিহত আফরুজা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা করলে পুলিশ মোহন শাহকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তিনি আসামী বাচ্চু মিয়া সহ তাদের আরও সহযোগী আসামীদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বগুড়া পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পশ্চিম) এবং আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় দ্রুত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
খবর ৭১/ই: