সোহেল পারভেজ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: মাছি ও পঁচাপানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরের ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। শ্বাস রুদ্ধকর পরিবেশ আর মাছি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ জীবন যাপন করছে গ্রাম গুলোর মানুষ । দৌলতপুর গ্রামে( ডিম উৎপাদনকারী নর্থ এগস নামে) একটি মুরগীর খামার স্থাপনের পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিকারে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর।
গ্রাম জুড়ে খামারের পচা পানি আর মুরগীর বিষ্ঠা। আর সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে রোগ জীবানু। তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে মশা- মাছিসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গের মাধ্যমে। আর যুক্ত হয়েছে দুর্গন্ধ। এতে গ্রামবাসীদের স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকা দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে । এমন অবস্থার শিকার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর, কুমিল্লাহাড়ি ও বিলপাড়াসহ ৪ গ্রামের ৫ হাজারেরও মানুষ। মাছিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮ বছর ধরে ভুগছে ওই গ্রামের মানুষ গুলো। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। এ অবস্থার হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে মশারির ভেতরে ঢুকে খাবার খাচ্ছে। আর অধিকাংশ নলকূপের পানি পঁচা গন্ধ হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে তারা ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই খামারটির পচা পানি ও বর্জ্য আর মুরগীর বিষ্ঠা রাখা হচ্ছে যত্রতত্র। এতে চলাচলেও ব্যাঘাত হচ্ছে তাদের। প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েও ভোগান্তি কমেনি তাদের । এ ব্যাপারে নর্থ এগস কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সার্বক্ষনিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ও মাছিবাহী রোগে আক্রান্ত হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এদিকে ওই মুরগীর খামারের নিকটে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পিকনিক স্পট বলাকা উদ্যান। পচাঁ – দুর্গন্ধ বাতাসে সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারে না ভ্রমন পিপাসুরা। আর পিকনিক খেতে আসা আগতরা ।
এমন অভিযোগের সত্যতা উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান স্বীকার করলেও প্রতিকারে উদ্যোগ গ্রহনে সফল হননি, তবে আশাও ছাড়েননি বলে জানান তিনি।
মুরগীর খামারটির বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে প্রশাসন ভূমিকা নেবে, আর ফিরে আসবে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের বেঁচে থাকার পরিবেশ এমন প্রত্যাশা সবার।
খবর ৭১/ইঃ