খবর ৭১ ভোলা প্রতিনিধিঃ
দ্বীপজেলা ভোলায় এইবার সূর্যমুখী চাষে ভাল ফলন পাওয়া গেছে, তবে মৌসুমের শুরুতে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফলনে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে সূর্যমুখী রোপন করে সাড়ে তিন মাসের মাথায় জমিতে ফুল আসতে শুরু করে। এখন চলছে ফসল কাটা।
ভোলা জেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বছর ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাসন সহ মোট পাঁচটি উপজেলায় ১৪শ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।
সরিষা ও তিলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশী পাওয়া যায়, প্রতি মনে ১৮ থেকে ২০ কেজি করে তেল আসে, বাজারে দাম ও পাওয়া যায় ভাল।
ভোলা সদরের সূর্যমুখী কৃষানী মন্জুরা বেগম বলেন, সূর্যমুখী চাষে ভাল ফলন পাওয়া গেছে,সূর্যমুখী তৈল আমরা বাজারে বিক্রি করে, যাহা পাই তাহা দিয়ে আমাদের সংসার চালিয়ে যাচ্ছি।
লালমোহন উপজেলার কৃষক রহিমুদ্দিন বলেন, সূর্যমুখী দিয়ে আমরা তৈল তৈরি করি, সূর্যমুখীর খৈল আমরা গরুকে খাওয়াতে পারি, সূর্যমুখীর গাছ দিয়ে আমরা লাকড়ি হিসাবে রান্নাবান্নার কাজে ব্যাবহার করি।
চরফ্যাসন উপজেলার কৃষক মোঃ ছগির বলেন, সূর্যমুখীতে পোকার আক্রমন নাই,তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভালই ফসল হয়েছে, সূর্যমুখির তৈল দিয়ে ভালই লাভবান হচ্ছি।
ভোলা জেলার কৃষি উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন, সূর্যমুখী একটি নতুন ফসল। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মিগন সূর্যমুখীর কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে, এইভাবে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূর্যমুখি চাষে এগিয়ে আসলে, ভোলার এই উর্বর জমিতে সূর্যমুখি চাষে ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে।
খবর৭১/এস: