কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে বোনম্যারো ক্যান্সারে আকান্ত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদুলের চিকিৎসায় ‘নাগরিক উদ্যোগে’ নগদ ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জাহিদুলের পিতা নুরল আমিনের কাছে এ অর্থ হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম, সদর ইউএনও আমিন আল পারভেজ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায়, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আহসান হাবীব নীলু, সিনিয়র সাংবাদিক মো: শাহাবুদ্দিন, সফি খান, হুমায়ুন কবির সূর্য্য, মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খাজা শরীফ উদ্দিন রিন্টু, রাজারহাটের মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানা, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ সিদ্দিকী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব সাঈদ হাসান লোবান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ও সদর ইউএনও আমিন আল পারভেজ’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে উক্ত অর্থ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা হয়। যা জাহিদুলের চিকিৎসায় ব্যয় নির্বাহ করা হবে। উল্লেখ্য, মরণব্যাধী বোনম্যারো ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত জাহিদুল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে অবস্থিত ঘোগাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র । তার শরীরে ক্যানসার সেলগুলো ক্রমেই অস্থিমজ্জা থেকে দ্রুত তার রক্তে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে হেমাটোলজি বিভাগে বিএমটি ইউনিট ও হেমাটোলজি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. এমএ খান এর তত্বাবধানে রয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে প্রয়োজন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। দরিদ্র দিনমজুর পিতার পক্ষে সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো অসম্ভব ব্যাপার। চিকিৎসকরা বলেছেন, দ্রুত অস্তিমজ¦া প্রতিস্থাপন করা দরকার। ইতোমধ্যে ক্যানসার রক্তে ছড়িয়ে পড়ছে। তার চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দাতা সংগঠন কিংবা বৃত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে দরিদ্র পরিবারটি।
খবর ৭১/ ই: