খবর৭১:পাকিস্তানের জঙ্গি অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনওয়া রাজ্যের শহর মার্দান। এই রাজ্যেই লেখাপড়া করার জন্য জঙ্গিদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল মালালা ইউসুফজাইকে।
সেই এলাকার কিশোরীই এখন স্বপ্ন দেখছে দেশের সেনাপ্রধান হওয়ার।
১৩ বছর বয়সী দুর্খানয় বানুরি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়ার বাসিন্দা। মুসলিম প্রধান ওই দেশ এবং সর্বোপরি ওই রাজ্যে মহিলাদের পর্দার আড়ালে থাকাটাই রীতি। সেই রাজ্য থেকেই দেশের সেনা প্রধান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে দুর্খানয়।
পাকিস্তানের রাজধানী শহর ইসলামাবাদ থেকে ১১০ কিমি দূরে অবস্থিত মার্দান শহর। সেখানেই তৈরি হয়েছে দেশের প্রথম মেয়েদের জন্য ক্যাডেট কলেজ। এক বছর হল যাত্রা শুরু করেছে কলেজটি। যার প্রথম পড়ুয়া হচ্ছে ১৩ বছরের দুর্খানয়।
দেশের সকল ধরনের ক্যাডেট কলেজগুলি পরিচালনা করে সরকার।
শিক্ষকতার দায়িত্বে থাকেন সেনাবাহিনীর শিক্ষা শাখার আধিকারিকরা। এখান থেকেই পাশ করা উজ্জ্বল পড়ুয়ারা সেনাবাহিনী ও সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে থাকেন। এখান থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের শীঘ্রই জমি ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে সরকার।
দেশের কয়েকশো ছাত্র যখন এই সমস্ত ক্যাডেট কলেজে পড়ছে, তখন ক্যাডেট কলেজের মতো উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের পড়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। মার্দানের এই গার্লস ক্যাডেট কলেজ হাঁটতে শুরু করেছে একটু ভিন্ন পথে।
কলেজের নজরকাড়া ছাত্রী দুর্খানয় বানুরির মতে, যখন একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন, স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর হতে পারেন, তখন সেই মহিলা দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানও হতে পারবে। আপনি দেখে নেবেন আমিই এটা করে দেখাব।
এই কিশোরীর স্বপ্ন সফল করতে তার সঙ্গে রয়েছে মার্দানের ক্যাডেট কলেজ। এই ধরনের কলেজগুলি মেয়েদের সেনাবাহিনী, সিভিল সার্ভিস, ফরেন সার্ভিস বা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে সহায়ক হবে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন পাকিস্তান ব্রিগেডিয়ার নউরিন সাত্তি।
খবর৭১/জি: