খবর ৭১ঃ আগুন নেভানো ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জনবল, কী পরিমাণ আধুনিক পোশাক, যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের সক্ষমতা রয়েছে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
১ এপ্রিল, সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
আগামী এক মাসের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি)কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর সাত তলার বেশি সব ভবনে অগ্নিনির্বাপণের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, এ বিষয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দুই মেয়র, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককে আগামী চারমাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়া ভবন নির্মাণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও অগ্নিনির্বাপণ আইন লঙ্ঘনের কারণে সৃষ্ট আগুনের বিপত্তি থেকে ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করেছে আদালত।
গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। জনমনে সচেতনতা বাড়াতে আগুনের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গতকাল গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদনটি করা হয়।