সোনারগাঁও(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ৭৭ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সোনারগাঁও থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ছোট জর্দার কৌটা, চারটি ছোট লোহা, দুটি লাল রঙের কচটেপ মোড়ানো অবিস্ফোরিত ককটেল, চারটি ছোট পাথর জব্দ করা হয়েছে। মামলায় আওলাদ গাজী (৩৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে আটক দেখানো হয়েছে। এতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামী করা হয়। সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, নূরে ইয়াসিন নোবেল, হোসেন মেম্বার, মনির, মনিরুজ্জামান মনির, সোহেল, মোক্তার, মাহফুজ, মোক্তার হোসেন মিন্টু, সুজন, জামান, আহমেদ সাত্তার, আমজাদ হোসেন, জোবায়ের, তাইজুল ইসলাম সরকার, আমিন সরকার, সাইফুল সরকার, সিরাজ সরকার, ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার, গুলজার, ওসমান গনি, নূর মোহাম্মদ, রূপচাঁন, শহিদ, সেলিম, রতন, কবির, মোতলেব, আলাউদ্দিন, শহিদুল্লাহ, হালিম, মোফাজ্জল, শাহ আলী, দেলোয়ার, সুমন, আমীর হোসেন, মানসুর, মনির হোসেন, ইলিয়াস, আবুল, ফয়সালসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার রাতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংসদ নির্বাচন বানচাল ও বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টের লক্ষ্যে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পুলিশের উপর ৩-৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ও উপর্যুপুরি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের তিন রাউন্ড গুলি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে কনস্টেবল মিজানুর রহমান ও সাইফুল আলম আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি নেতা আওলাদ গাজীকে গ্রেফতার করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ