খবর ৭১ঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এসব মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজটের দেখা গেছে। এ জন্য ঈদে ঘরে ফেরা হাজারো মানুষ সড়কে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও এর আশপাশে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকালে ওই মহাসড়কের ওভারব্রিজের ওপর একটি ট্রাক বিকল হয়ে গেলে সরাতে সময় লাগে। এর পর থেকে শুরু হয় যানজট। এই যানজট কালিয়াকৈর খারাজোরা এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার ওপর মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে খানাখন্দ।এদিকে, সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় এক পথচারী নারী নিহত হয়েছেন। মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
ঈদ উপলক্ষে ভোর থেকে ঘরে ফেরা মানুষের প্রচুর ভিড় ও যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় সোনারগাঁর মেঘনা সেতুতে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক বিকল হয়ে গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘণ্টাখানেক যানজটের সৃষ্টি হয়।
নারায়ণগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাইউম আলী জানান, বিকল ট্রাকটি সরিয়ে নিলে যানজট খানিকটা কমে আসে। এখন স্বাভাবিক নিয়মে যানবাহন চলাচল করছে মহাসড়কে। যাত্রী ভোগান্তি নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের কুমিল্লা দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে দাউদকান্দির পুটিয়া পর্যন্ত যানজট লেগে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া এ যানজট আজ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দির থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং চার লেন থেকে সেতুর দুই লেনে উঠতে গিয়ে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, যানজটে আটকে পড়ে শত শত যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে। পণ্যবাহী যানবাহন আটকে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে বলেও ওসি আবুল কালাম আজাদ। আজ থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে।