মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাতি( মধ্যপারা) মহল্লার বৃদ্ধা বিধবা জাফেলা খাতুন (৫৫) এবং তার ছেলে বাক ও শারিরীক প্রতিবন্ধি আলামীন(১৫) এর সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস ৩ মাস পর পর প্রাপ্ত বিধবা ভাতার ১৫ শত আর প্রতিবন্ধী ভাতার ১৮ শত টাকা।
জাফেলা খাতুন এর স্বামী ভ্যান চালক বদিউজ্জামান আনুমানিক ৭ থেকে ৮ বৎসর পুর্বে মারা যায় । মারা যাবার সময় জাফেলা খাতুনের ২ টি বিবাহ যোগ্য কন্যা ছিল আর সাথে আছে শারিরীক প্রতিবন্ধী ছেলে আলামীন।
গ্রামের বিত্তবান মানুষদের সহযোগীতায়্য মেয়ে দুইটির বিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বয়সের ভারে নুয়ে পরা শরীর নিয়ে জাফেলা খাতুন কোন কাজ করতে পারে না । একটি ঘর ছাড়া কোন কৃষি জমি না থাকায় কোন বর্তমানে সে ও তার ছেলে নিজের বিধবা ভাতা ও ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে বেচে আছে।
অসহায় বিধবা জাফেলা খাতুন বলেন-“ হাসিনার সরকার যদি বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা না কইরতো ,তালি আমরা না খ্যায়া মইরা যাইতাম। তিন মাস পর পর পর সব মিল্যায়া যে ৩৩ শ ট্যাকা পাই তাই দিয়া তিন মাস চলি । কেউ যদি আমার গ্যাদা আলামীনের চিকিৎসা করাইতো তালি আমার গ্যাদা আলামীন অন্ততত চইলবার হাইটপার পাইরতো”।
এলাকাবাসী অনেকটাই অভিযোগ ও আক্ষেপের সুরে জানান-“ মেম্বরেরা কেউ মাগনা বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দেয় না। তারা ২ হাজার , ৩ হাজার ট্যাহা নিয়া ভাতার কার্ড দেয়। ট্যাহা না দিলে কার্ড দেয় না”।
খবর ৭১/ ই: