খবর৭১:গরমে হাঁসফাঁস নাজেহাল অবস্থা সকলের।ছাতা, রুমাল, সানগ্লাস, ওড়নায় ঢাকা মুখগুলো রোদের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে। গরম যত বাড়ছে, তত বাড়ছে শরীর খারাপের চিন্তাও। এই প্রচণ্ড গরমে সবথেকে সবাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন হিট স্ট্রোকে। তাই সময় মতো যদি সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে হিট স্ট্রোক মারাত্মক হতে পারে।
এমনকী দেরি করে ফেললে প্রাণঘাতীও হতে পারে হিট স্ট্রোক। কী দেখে বুঝবেন আপনার হিট স্ট্রোক হয়েছে? হলে কী করবেন, করবেন না? জেনে নিন—
শারীরিক অসুস্থতা—
১. মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা হবে।
২. শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হবে।
৩. হৃদ-স্পন্দন বেড়ে যাবে।
৪. চোখ-মুখ-ত্বক লাল হয়ে উঠবে।
৫. প্রচন্ড ঘাম হবে। শরীর ঝিমঝিম করবে।
৬. গা গোলাতে থাকবে বা বারবার বমি হবে।
অসুস্থতা এড়াতে কী কী করবেন, করবেন না—
১. বেশি শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম করবেন না।
২. হালকা রঙের বা প্যাস্টেল শেডের হালকা জামাকাপড় পড়ুন। গরমে আরাম পেতে বাছুন সুতি, লিনেন। খুব ফিটিংস পোশাক পরবেন না। এতে হাওয়া চলাচল করতে না পেরে শরীর খারাপ লাগবে বেশি। ফুলস্লিভ পোশাক বাছবেন এই মরশুমে। গা ঢাকা থাকলে তাপ লাগবে কম।
৩. শরীরে পানীয় অংশের পরিমাণ সঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। বাইরে বেরোলে সঙ্গে সবসময় পানির বোতল রাখুন। তাতে নুন-চিনি বা গ্লুকোজ মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪. বাইরে বেরনোর সময়ে টুপি, ছাতা, সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না। অর্থাৎ, যা আপনার শরীরের বেশিরভাগটাই ঢেকে রাখবে, তেমন জিনিস অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। দরকারে ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা-মুখ ঢেকে নিন।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ডায়েট-এ থাক ফলের রস, সুপ, স্যালাড, ডাবের জল, লস্যি, টক দই, সেদ্ধ খাবার। তেলে ভাজা, জাঙ্ক ফুড, রাস্তার রিচ খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন।
৬. বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন শরীরের খোলা অংশে। এতে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে বাঁচে ত্বক।
৭. ক্যাফেইন, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৮. কেউ অসুস্থ হলে তার মাথা থেকে ঠান্ডা পানি ঢালুন। এতে শরীরের বাড়তি তাপ কমবে। অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ বোধ করবেন। এরপর অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন।
শরীর ঠান্ডা রাখতে কী কী করবেন—
১. আয়ুর্বেদ বলছে, পেঁয়াজের রস শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই শরীরের তাপ বেড়ে গেলে কানের পিছনে, বুকে পেঁয়াজের রস লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়তি তাপ কমবে।
২. টক জাতীয় খাবার গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই এক গ্লাস পানি কিছু পাকা তেঁতুল ফুটিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে ঠান্ডা করে, ছেঁকে, চিনি মিশিয়ে রোজ খেতে পারলে শরীর ঠান্ডা থাকে। সঙ্গে হজমের সমস্যাও কমবে।
৩. একইভাবে তেঁতুলের বদলে কাঁচা আমের শরবত খেতে পারেন। আম সিদ্ধ করে তাকে ভালো করে চটকে নিন। এবার পানিতে গুলে তাতে চিনি বা আখের গুড়, জিরা-মৌরি-গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে রোজ পান করুন।
৪. আলোভেরায় প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস আছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে শরীরের তাপ কমিয়ে দেয়।
৫. মিছরি সারারাত পানি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খালি পেটে সকালে খেলেও শরীর ঠান্ডা থাকবে।
খবর৭১/জি: