খবর ৭১ঃ ময়মনসিংহে তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে এসে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন রমিছা (৩০) ও সালমা খাতুন (২৬) এবং বাংলাদেশি দালাল সাবিকুন্নাহার (২২)।
পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় দৈনিক নবকল্যাণের সম্পাদক নবদীপ সাহা দুই রোহিঙ্গা নারীর আবেদনপত্র সত্যায়িত করেছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক তিন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখিত তথ্যাদি পরীক্ষা করে দেখছেন।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকালে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় দুজনের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় উপপরিচালক নুরুল হুদার। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুই রোহিঙ্গা নারীর দেয়া তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। নিজেদের বিবাহিত পরিচয় দিলেও স্বামীর নাম বলতে পারেননি তারা। পরে উপপরিচালক দুই নারীকে বাংলাদেশি পরিচয় যাচাইকালে সত্যতা পাননি।
দুপুরে রোহিঙ্গা দুই নারীসহ তিনজনকে পাসপোর্ট অফিসে আটক করে রাখা হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান অফিসে যোগাযোগের পর গতকাল সন্ধ্যায় তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন উপপরিচালক। উপপরিচালক নুরুল হুদা জানান, দুই রোহিঙ্গা নারীর একজন ঢাকা অন্যজন দিনাজপুরের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। দালাল সাবিকুন্নাহার ঢাকার সাভারের বাসিন্দা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, দুই রোহিঙ্গা নারী কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে থাকেন বলে জানিয়েছেন। পাঁচ মাস আগে সাভারে এসে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছেন। সেই সূত্রে নারী দালালের সঙ্গে পরিচয়। কুতুপালং থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারেন, সে জন্য শূন্য সহনশীল নীতি সরকারের।
খবর ৭১/ইঃ