মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদীর পাশে অবস্থিত হবিগঞ্জ ইন্ড্রাষ্টিয়াল (প্রাণ-আরএফএল) কোম্পানী লিমিটেডের দূষিত বজ্রের পানিতে ছেড়ে দেওয়ায় এলাকার পাকা ধান ও ফসলী জমির ক্ষতি সাধন হয়েছে। দেখার মত কেউ নেই? এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জে অলিপুর নামকস্থানে হবিগঞ্জ ইন্ড্রাষ্টিয়াল (প্রাণ-আরএফএল) কোম্পানীর বর্জ্যরে সুতাং নদীর পানিতে ছেড়ে দেওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জসহ ভাটি অঞ্চলের গ্রামগুলোতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। বুধবার (০২ মে ) ভোররাতে কোম্পানী থেকে বর্জ্যরে পানি ড্রেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয় সুতাং নদীতে কিন্তু এ দূষিত বর্জ্যরে পানি সুতাং নদীতে বেশে বিভিন্ন স্থানে ফসলের জমি ক্ষতির সাধন হলেও প্রতিবাদ করার কেউ নেই। এতে শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার কয়েক হাজার একর পাকা ধানের জমির ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। কোম্পানীর বর্জ্যের পানিতে বিভিন্ন এলাকার মালিকানাধীন পুকুর ও নদীর মাছ মরে যাচ্ছে। ভুক্তভোগিরা প্রতি বছর মাছ চাষ করে বছরে লক্ষাধিক টাকা আয় করতেন। এখন ঐসব মালিকানা পুকুরে মাছ চাষে লোকসান গুণতে হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, তার পাকা ধানের জমিসহ এলাকার কৃষকের শতাধিক একর জমির পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দূষিত বর্জ্যরে পানিতে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছর ওই জমিগুলোতে ফসল না ফলার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘেঁষে স্থাপিত পরিবেশ বিপর্যয়কারী হবিগঞ্জ ইন্ড্রাষ্টিয়াল (প্রাণ-আরএফএল) এর কারখানা থেকে নির্গত দূষিত বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এর প্রতিবাদে কয়েকবার মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধসহ কোম্পানীতে হামলাও করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু এরপরও কোন প্রতিকার নেই। হবিগঞ্জ ইন্ড্রাষ্টিয়াল (প্রাণ-আরএফএল) কোম্পানী নির্মাণের পর থেকেই কেমিকেল দূষিত বর্জ্য সুতাং নদীতে ছেড়ে দেওয়ায় ভাটি অঞ্চলে দিকে নির্গত হলে ১৫-২০টি গ্রামের লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে এবং হুমকির মুখে পড়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এরপর থেকেই এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকাবাসী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিলেও প্রতিকার নেই।
খবর ৭১/ ই: