খবর ৭১:যৌতুক নিয়ে চাকরি পাওয়ার পর তালাক দেয়ার অভিযোগে আলামিন নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পাবনার আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। মামলায় শ্বশুর মিজানুর রহমান এবং শাশুড়ি বুলবুলি খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের কনস্টেবল আলামিনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পাবনার আমলি আদালত-৩ এ মামলাটি করেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ এপ্রিল সবাইকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে তালাকনামা পাঠান একই উপজেলার কাজীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আলামিন।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি ছাড়া জান্নাতুলের সঙ্গে আলামিনের বিয়ে হয়। চার দিন পর ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে নেন আলামিন। পরে জান্নাতুলের পরিবারের চেষ্টায় তিনি পুলিশে চাকরি পান। কিন্ত আলামিন ও তার বাড়ির লোকজন আরো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে জান্নাতুলকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমার সুখের জন্য বাবার গচ্ছিত টাকা দিয়ে এই বিয়ে হয়।
তার মা নাসরিন নাহার জানান, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে জামাইকে সাত লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আরও টাকা খরচ করে তাকে পুলিশে চাকরি দেয়া হয়েছে। কিন্ত চাকরি পেয়েই আলামিন আরও টাকার জন্য টালবাহানা শুরু করেন। এ সময় এলাকাবাসীর চাপে ওদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। কিন্ত আলামিন আরো যৌতুকের জন্য জান্নাতুলকে মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুর রউফ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ এপ্রিল সবাইকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
খবর ৭১/ ই: