খবর৭১: বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও তলব করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। কিন্তু অসুস্থ দাবি করে এদিন দুদকে হাজির হননি তিনি। একইসঙ্গে অসুস্থতার কারণে দুদকে হাজির হতে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন বাচ্চু। তবে বাচ্চুর এই সময় আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, আব্দুল হাই বাচ্চুকে শিগগিরই দুদকে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দেয়া হবে। দুদকে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আব্দুল হাই বাচ্চুর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার সংস্থাটির উপ-পরিচালক শামসুল আলমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে দুদক প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই দিন এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে দোষী মনে করেন না বলে মন্তব্য করেন বাচ্চু।
এরপর গত ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো প্রায় সাত ঘণ্টা আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান জাতীয় পার্টির এই সাবেক সংসদ সদস্য।
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর সম্প্রতি ব্যাংকটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। বাচ্চুর আগে ব্যাংকের প্রাক্তন ১০ পরিচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের দায়ের করা ৫৬টি মামলার বিষয়ে আব্দুল হাই বাচ্চুকে কমিশনের পরিচালক একেএম জায়েদ হোসেন খান ও সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত দুই দিনে ৫৬টি মামলার মধ্যে ১৫টি মামলার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাকি মামলাগুলোর বিষয়ে বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাদ করার কথা রয়েছে।
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা।
খবর৭১/এস: