আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে সানশাইনের ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

0
311

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সানশাইন স্পেস ফর মেন্টাল হেলথ সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধমূলক ওয়ার্কশপ, ওয়েবিনার, কনটেন্ট রাইটিং, পোস্টার ডিজাইনিং, ইনফোগ্রাফি থেকে শুরু করে ভিডিও মেকিং এত মত নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে।

এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সানশাইনের উদ্যোগে একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত ওয়েবিনারে দেশবরেণ্য বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আফরোজা হোসাইন। মূখ্য আলোচক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সককারী এটর্নি জেনারেল শাহীন মীরধা, ডিএমপি জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম, ফজলে এলাহী (মেন্টাল হেলথ সুপারভাইজার (এম, এস, এফ), কানিজ ফারহানা (সাইকোলজিস্ট, লাইফস্প্রিং)।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ড. আফরোজা বলেন, সুষ্ঠু ও সঠিক পন্থায় জীবন অতিবাহিত করতে এবং জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চাইলে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকল্প নেই। আমাদের জীবনের বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় হতাশ না হয়ে উত্তরণের সঠিক উপায় খুঁজতে হবে এবং আমাদের আশেপাশের অন্যান্য মানুষের কথাও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে এবং সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গের পরস্পরের প্রতি সহমর্মী মনোভাবের গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রধান বক্তা আরো বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের মত মানসিক স্বাস্থ্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, কোন কাজে ব্যর্থ হলে হতাশার নিমজ্জিত হওয়া চলবে না। পরিশ্রম ও সঠিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে একাগ্রতার সাথে লেগে থাকতে হবে এবং নিজের দক্ষতা ও ভালো লাগার সমন্বয়ে ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত সঠিক পরিবেশ ও কাজ খুঁজে নিতে হবে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা, আত্মহত্যা প্রতিরোধে মনোবিজ্ঞানীদের ভুমিকা এবং করোনা পরবর্তী সময়ে কিভাবে নিজেকে গড়ে তোলতে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

আত্মঘাতী আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জীবনের মূল স্রোতধারার সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করার লক্ষে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি) এর উদ্যোগে প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডলিউএইচও) অনুমোদনের মাধ্যমে ২০০৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রথম বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। এবারের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- কর্মের মাধ্যমে আশার সঞ্চার করো (ক্রিয়েটিং হোপ থ্রু অ্যাকশন)। অর্থাৎ কর্মের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করে মানুষকে আশাবাদী করে তোলাই এর মূল লক্ষ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here