খবর৭১ঃ আফগানিস্তান থেকে ৬৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আফগান নাগরিক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে আফগান আমেরিকান নাগরিকও। এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তালেবানের কাবুল দখলের পর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনকে। মার্কিন নাগরিকরাও এসব আফগানকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করছেন। শিশুদের খেলনা, বড়দের বইপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। আর্থিকভাবে সহায়তাও করছেন অনেকে। ডেইলি মেইল।
একে একে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা দখলের পর ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। মূলত এর আগে থেকেই নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিনিদের সঙ্গে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে আফগানরা, বিশেষ করে যারা পশ্চিমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করছে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে বসবাসরত ১৫ হাজার মার্কিন নাগরিকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে সহযোগিতা করা ৬৫ হাজার আফগানকে পুনর্বাসন করতে চান তিনি। এর মধ্যে ইতোমধ্যে বিশেষ ভিসায় প্রায় দুই হাজার আফগান দোভাষীকে ভার্জিনিয়া রাজ্যের ফোর্ট লিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে। অবশিষ্টদের সরিয়ে আনতে কয়েকডজন বিমান পাঠানো হয়েছে। সামরিক বিমানের পাশাপাশি কাজ করছে কমার্শিয়াল বিমানও। এসব বিমানে প্রতিদিনই প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সামরিক কমকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার একদিনে ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দিতে গিয়ে উইলিয়াম হাঙ্ক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সামরিক এবং বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে আফগানিস্তান থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু মার্কিন সামরিক বাহিনী একাই প্রায় ১১ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে।