ইউপি সদস্য আমিন মোল্লার দাবী টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় 

0
283

সুলতান আহমেদ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন উপজেলার ৯ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিন মোল্লা (আমিন)। ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান আমিন মোল্লা সোমবার (২আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে কথা বলেছেন । একটি কুচক্রী মহল তার মান সম্মান হানি করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্যদিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ও পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলার ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়নে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সরকার বয়স্ক ও বিধবা ভাতা চালু করেছে। এসব ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে আমার বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের দু’জনের নিকট থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।

তিনি জানিয়েছেন, গনমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশের পর আমি স্থানীয় লোকজনসহ নারায়ণপুর গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম এবং ফজের আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং তার ছেলে জাইদুর ইসলামের সাথে কথা বলেছি। ভাতার কার্ডের জন্য আমাকে কখনো কোন টাকা দেননি বলে তারা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবিষয়ে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের খবরে আমার নাম এসেছে । যা খুবই অপ্রত্যাশিত। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমিন মোল্লা বলেন, আমি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান। অত্র এলাকা জুড়ে আমার সুনাম রয়েছে। ফলে সাধারন মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি সর্বদা সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি মহল শত্রুতা বসতঃ সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্নক সহযোগিতা করে আসছি। আগামীতেও আমার সেই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কার্ডের বিনিময়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনকে টাকা দিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন,‘আমিন নিম্বারক (মেম্বার/ইউপি সদস্য) আমি টাকা-পয়সা দিইনি, কিন্তু সেই দিন আমাকে খুব চাপে ফেলেছিল, বুল্লজি (বলেছেন) এই কথা বুললে (বললে) তোমার কার্ড হবে তাই বুলিচি।’ এবিষয়ে জানতে চাইলে ফজের আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং তার ছেলে জাইদুর ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনকে কোন টাকা-পয়সা দেননি বলে জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here