১৩ জুন খুলছে স্কুল-কলেজ

0
192

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির আরও অবনতি না হলে আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বুধবার এক ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয় একই সময় খুলে দেয়া হচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসার ওপর।

মন্ত্রী বলেন, ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নতুন করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয় তাহলে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদের সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাসে আসতে হবে। ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরও হয়তো একই সময়ে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যান্য ক্লাসের ব্যাপারে হয়তো সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে।’

দীপু মনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েই কাজ করছি। করোনা মোকাবেলায় পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিই। সংক্রমণের হার শতকরা কত শতাংশ নেমে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া সম্ভব। এখন আমরা দেখছি ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। আমাদের এসব বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানের মধ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে সে তথ্য ইউজিসির কাছে চেয়েছি। তবে যাদের বয়স চল্লিশের বেশি, বেশিভাগই টিকা গ্রহণ করেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের বয়স ৪০-এর কম তাদের বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা এলেই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে। এক্ষেত্রে আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ সংখ্যাটা যেহেতু বিশাল নয়, তাই দ্রুত ওদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।’

‘করোনা সংক্রমণ যদি উন্নতি হয় তবে জুনের মধ্যে হয়তো স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে করোনা টিকার ওপর। অঞ্চলভিত্তিক খুলে দেয়ার ব্যাপারে অনেকেই মতামত দিচ্ছে এটিও আমাদের মাথায় আছে’-যোগ করেন দীপু মনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here