ঝিনাইদহের হলিধানীর নছিমন চালক দবির সন্তানদের জন্য বাঁচতে চান

0
342

রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
“আমি জানি দেশে আমার মতো শত শত দবির শরীরে দুরারোগ্য ব্যাধী নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, হয়তো আমার চিকিৎসায় কেও সাড়া নাও দিতে পারেন। কিন্তু সন্তানদের আমি কার কাছে রেখে যাব ? শুধু তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে প্লিজ আমাকে সহায়তা করুন। আমাকে বাঁচান”। কথাগুলো বলতে বলতে কন্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে এলো নছিমন চালক দবিরের। দবিরের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী টাওয়ার পাড়ায়।

তিনি ওই গ্রামের নজির বিশ্বাসের ছেলে। পরের নছিমন চালিয়ে দিনে যা আয় হতো,তা দিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই চলছিলো দবির বিশ্বাসের সংসার। কিন্তু ঘাড়ে ছোট্র ফোড়া এখন ক্যান্সারে রুপ নিয়েছে। ৭ মাস আগে তার এই রোগ ধরা পড়ে। এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ডাক্তাররা বলেছেন ধারাবাহিক চিকিৎসায় এই রোগ ভাল হয়ে যেতে পারে। গত ৭ মাসে দবিরের খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। চিকিৎসা হতে তিনি দায়দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। পিতার মাত্র ৮ শতক জমিতে ৬ সন্তানের ভাগ। আর কোন আয় রোজগার নেই। চালাতে পারছেন না পরের নছিমন। পাড়া প্রতিবেশির কাছে হাত পেতে চলছে সংসার। এ ভাবে কি আর চিকিৎসা হয় নাকি সংসার চালানো যায় ? মেয়ে শারমিন সুলতানা অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। চাল কিনতে ১১ বছরের ছেলে সাব্বির মাঝেমধ্যে নছিমন চালাতে বাধ্য হয়। স্ত্রী শিল্পী খাতুন জানান, স্বামীর চিকিৎসা করাতে তাদের সামনে আর কোন উপায় নেই। চিকিৎসকরা বলেছেন, এক লাখ টাকা হলে কেমোথেরাপি ও ওষুধ কিনে তার স্বামীর চিকিৎসা করানো সম্ভব হতো।

আমরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। টাকা না পেলেও সবাই কিন্তু শান্তনা দিচ্ছেন। কে শুনাচ্ছেন আশার বানী। এ অবস্থায় পড়েছি গভীর হতাশায়। এদিকে দ্রুত সময় চলে যাচ্ছে। স্বামীর কষ্ট বাড়ছে। কিছু খেতে পারছে না। অসহ্য যন্ত্রনা ঘাড়ে। স্বামীর একটাই আঁকুতি ছেলে মেয়ের একটা গতি করে যেতে পারলে মৃত্যু হলেও আমি শান্তি পেতাম, যোগ করেন স্ত্রী শিল্পী খাতুন। তিনি তার স্বামীর চিকিৎসায় বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।

দবির উদ্দীন বিশ্বাসকে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল কোন ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে তার
👉👉(মোবাইল ও বিকাশ নং ০১৯৪১-৭৬৭৪৫৩) তে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনাদের দানে হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম মানুষটি জীবন ফিরে পেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here