খবর৭১ঃ ইভিএম এমন এক সিস্টেম যেখানে নৌকার বাহিরে কেউ ভোট দিলে ধরে ফেলা যায়। সুতরাং উলটাপালটা টিপ দিয়ে রাজাকার ও খন্দকার মোশতাক হবেন না। যারা উলটাপালটা টিপ দেবেন পরের দিন মেশিন চেক করলে সিসি ক্যামেরার মতো বের করা যাবে।’ বুধবার লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এমন বক্তব্যকে ঘিরে রামগতির সর্বত্র সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রামগতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরসেকান্তর সফিক একাডেমি মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মিসভায় অ্যাডভোকেট নয়ন ইভিএম সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন। নয়নের বক্তব্যকে ঘিরে বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও শঙ্কা বিরাজ করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা বলেন, ‘এটি অশুভ ইঙ্গিত। এতে ভোটের পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়বে। ভোট দিতে আগ্রহ হারাবে সাধারণ ভোটাররা।’ তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ইভিএমে কে কাকে ভোট দিল তা চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ নেই। রামগতি পৌর নির্বাচন আজ রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ জেলায় এটাই ইভিএমে প্রথম ভোট। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইভিএমের সঙ্গে ভোটারদের পরিচিত করতে শনিবার ‘মক ভোটের’ আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। তবে এতে তেমন সাড়া মেলেনি। এখানে মেয়র পদে ছয়জন, কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু এবং ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী নির্বাচন করছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবদুর রহিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আবদুল্লাহ ও জামাল উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ভোট কারচুপির কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন। ইভিএমে কারচুপি আছে এটি তার বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ইভিএমে ভোট প্রসঙ্গে এমন বক্তব্য তিনি দেননি। একটি মহল ও বাঁশের কেল্লা নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।