পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্ষের ঘড় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ঘড় বিতরণ কারী কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মহান এ প্রকল্পের সুনাম ভেস্তে যাচ্ছে। ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলছেন, টাকা ছাড়া কোন ঘড় ওঠেনা। তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ঘড়ের বিষয় লেনদেন করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন ? উপজেলার ৯ নং ধুলাসার ইউনিয়নে প্রথম ধাপে ৭৬ টি নামের তালিকা করে ইতিপূর্বেই ঘড় গুলো নির্মাণ প্রায় সম্পন্নের পথে হলেও নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও অর্থলোপাটের অভিযোগ এনে ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের মোঃ বাদল খান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বরাবরে অভিযোগ করেন। এবং তা সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে অনুলীপি প্রেরণ করেণ। উক্ত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে প্রতি ঘড় থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে মোট ২৬ লাখ ৬০ টাকা নেয়া হয়েছে ।
এই অপকর্মের সাথে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো মোস্তাক হাওলাদার ও আল আমিন সহ বেশ ক’জন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী, অতিরিক্ত ঘড় তৈরির খরচ বাবদ টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এই অনিয়মের সংঙ্গে খোদ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল আকনের ভ‚মিকা ও রহস্য জনক বলে স্থানিয়রা জানান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল আকন বলেন, ঘড়ের ব্যাপারে কোন টাকা নেয়া হয়নি তবে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তা প্রমাণ করতে পারলে আমি লোকাল চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাবস্থা নেব। অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। টাকা নেয়ার বিষয় টা ঘড়ের জন্য নিয়েছে ? না চেয়াম্যান এর সাথে অন্য কোন লেন দেন আছে তা তো আমি জানিনা। লেন দেন করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।টাকা নেয়ার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে কেউ জদি টাকা পয়সা নেয় তা সম্পূর্ন চাঁদা বাজী।