বেনাপোলে বিনাদোষে রাজমিস্ত্রিকে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ

0
214

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোলের রঘুনাথপুর ক্যাম্পের নায়েক মোহায়মেনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ গ্রামবাসীর। তার অত্যাচারের মাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। বলেন, যখন তখন গ্রামের যাকেতাকে আটকপূর্বক মারধর ও প্রতিবাদ করলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে এই বিজিবি সদস্য।

কথা হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন রঘানাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য মোহাইমেন নামে বিজিবি সদস্যের অত্যাচারের শিকার রাজমিস্ত্রি রুবেলের সাথে। তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা পল্লীর আসাদুল ইসলামের ছেলে। এসময় রুবেল বলেন, তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি এবং গ্রামে ছোট্র একটি দোকান আছে। হঠাৎ রবিবার বিকেলে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কয়েকজন বিজিবি সদস্য তার বাড়িতে আসেন। তারমধ্যে মোহাইমেন নামে এক বিজিবি সদস্য তার বাড়িতে গাজা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন এবং কোন মাদকের ব্যবসা করেনা বলে জানালে উক্ত বিজিবি সদস্য তাকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে মারতে থাকেন। বলেন, রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রবের ৪ কেজি গাজা তোর কাছে রয়েছে, কোথায় রেখেছিস বের করে দে। তিনি আমার সমস্ত বাড়ি তল্লাশি করে কিন্তু কিছু নাপেয়েও তিনি আমাকে বিনাদোষে পেটাতে পেটাতে ফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। অবশেষে আমার চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে আসলে এবং গ্রামবাসীর প্রতিবাদে ছেড়ে দিয়ে যায়।

ইতিপূর্বে, শাহিন, তরিকুলসহ বিভিন্ন মানুষকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রঘুনাথ গ্রামের জনৈক ব্যক্তি। বলেন, মোহায়মেন নামে বিজিবি সদস্যের অত্যাচারের মাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ খুবই আতঙ্কে রয়েছে। তিনি যখন তখন যারে তারে আটকপূর্বক মারধর ও প্রতিবাদ করলে গাজা ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক দিয়ে মামলা দেয়।

এ বিষয়ে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, তার বাড়িতে গাঁজা ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। আমাদের দেখে তার মা গাজা সরিয়ে ফেলে। আর তাকে যে মার ধরের কথা বলা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে ওই গাজা ব্যবসা নিয়ে গ্রামে অন্য কারোর সাথে মারামারি করে আহত হয়। আমরা সেখানে যেয়ে তার হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহৃ দেখতে পেয়েছি।

এ বিষয়ে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের রঘুনাথপুর ক্যাম্পের সুবেদার আবুল কালাম বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালাই। তবে বাড়িতে গাজার কোন চালান না পেয়ে চলে আসি। তবে, তারা মাদক ব্যাবসা করে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। সব থেকে বড় কথা, নায়েক মোহাইমিনুল এখানে অনেক দিন ধরে চাকরি করার সুবাদে সে এই এলাকার অনেক কিছু জানে। তার নামে অপবাদ দিয়ে তাকে সরাতে কিছু চোরাকারবারি অভিযোগ তুলতেই পারে। কারন, সে থাকলে মাদক ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here