যশোরের শার্শা’য় প্রধানমন্ত্রী’র উপহার” মাথা গোজার ঠাঁই পাচ্ছে ভূমিহীন ৫০ পরিবার

0
263
যশোরের শার্শা’য় প্রধানমন্ত্রী’র উপহার” মাথা গোজার ঠাঁই পাচ্ছে ভূমিহীন ৫০ পরিবার

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা’য় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারে নিশ্চিন্তে মাথা গোজার ঠাঁই হচ্ছে গৃহহীন ও ভূমিহীন ৫০ পরিবারের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবার্ষিকি উপলক্ষে সারাবাংলার ৪৯২টি উপজেলায় ৬৬ হাজার ১৮৯ টি গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া “ঘর” উপহারের মধ্যে শার্শায় পাচ্ছে ১১৫টি ঘর। যার ৫০টি ঘর প্রস্তুত হওয়ায় ২৩ জানুয়ারি (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সকল উপজেলার সঙ্গে একযোগে উদ্বোধন করবেন এসকল ঘর। উপকারভোগীদের হাতে হস্তান্তর করা হবে ঘরের চাবি।

সরকারের একটি বৃহৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় “আশ্রয়নের অধিকার” “প্রধানমন্ত্রীর উপহার” এই স্লোগান সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করে ৫০টি গৃহ নির্মানের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানালেন শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া। আপাতত উলাশি কাঁচা বাজার, কাঠুরিয়া আম বাগান, কায়বার রাঘবপুর, গোগা পূর্ব পাড়া, গোপালপুর, বালুন্ডা, ধান্যখোলার পালবাড়ি মোড় ও ডিহির পন্ডিতপুরে এসকল ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি আধাপাকা টিন-শেড ঘরে ৪৩৮ বর্গফুটের দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর আছে। যার প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডোল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে শার্শা উপজেলায় ১১৫টি ঘরের বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫০ টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে একযোগে উদ্বোধনের পর উপকারভোগীদের হাতে এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার এ সুবিধার আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।

সুত্রে জানাযায়, ২০২০ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করেন। বলেছিলেন, মুজিববর্ষে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলার ৪৯২টি উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করে তাদের ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ সময়ের মধ্যে এসব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায় সরকার।

বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি আলহাজ¦ বজলুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত সমাজের মূল ¯্রােত থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষগুলোকে নিশ্চিন্তে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেওয়া সত্যিই ভাবনার বিষয়। স্বপ্নেও ভাবিনি এসকল ছিন্নমূল মানুষদের একদিন পাকা ঘর হবে! তারা ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিজ পাকা বাড়িতে বসবাস করবে। আগে যারা ট্রেনলাইন কিংবা বিভিন্ন রাস্তার পাশে খুপরি করে ভাসমান অবস্থায় ছিলো, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়ে নতুন একটি ঠিকানা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, এলাকার অনেক ছিন্নমূল মানুষ যারা ঘর পেয়েছে তারা তাদের সারাজীবন চেষ্টা করেও পাকা ঘরে থাকার মতো সামর্থ্য ছিলোনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতি এমন উদ্যোগকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, আজ জাতির জনক ঁেবচে থাকলে দু’চোখ ভরে দেখতেন তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হাসছে।

যশোর-১(শার্শা)’র এমপি আলহাজ¦ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন করা আজ স্বপ্নগাথা ছিন্নমূল বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা সমাজের মূলত থেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিলো। সেখানে দীর্ঘদিন পরে হলেও আওয়ামীলীগ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির পট পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক গ্রাম হবে শহর। আওয়ামীলীগ সরকারের বিশাল উন্নয়নযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে শার্শাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা করেছি। প্রতিটি গ্রামে শহরের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট বাসস্থানসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৫০ টি ঘর প্রস্তুত করেছি। খুব দ্রুত শার্শা উপজেলাকে মডেল উপজেলায় ঘোষণা দিতে উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here