খবর৭১ঃ করোনার প্রতিষেধক টিকার অনুমোদন দেয়ার পরদিন টিকা প্রয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে টিকার জন্য বরাদ্দও বাড়িয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের বৈঠকে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কামাল আজাদ (আর্থ- সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ) সাংবাদিকদের জানান দেশে টিকা আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারা এটি পাবেন।
কমিশনের সদস্য জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকার আওতায় আনা হবে না।
দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর মধ্যে কারা করোনার টিকা পাবেন- এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এর কিছু ব্যক্তি শ্রেণির নাম এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এর বাইরে পরিকল্পনা কমিশনও কিছু শ্রেণির জনগোষ্ঠীর নাম প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত জনগোষ্ঠী হলো— কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মজীবী, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, বন্দরগুলোতে দায়িত্বরত কর্মী, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মী, ব্যাংককর্মী, স্বল্প বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যারা কোভিডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানের কর্মী (গার্মেন্ট), পরিবহন শ্রমিক, শ্রমঘন হাটবাজার-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, এতিমখানা এবং বিদেশগামী ও বিদেশফেরত ব্যক্তিবর্গ।’