শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পা হারানো স্কুল ছাত্রী চিকিৎসার পাশে দাড়িয়েছে অনির্বাণ লাইব্রেরী

0
434
শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পা হারানো স্কুল ছাত্রী চিকিৎসার পাশে দাড়িয়েছে অনির্বাণ লাইব্রেরী

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পা হারানো স্কুল ছাত্রী তাজরিন আক্তার নদীর (৯) চিকিৎসার জন্য পাশে দাড়িয়েছে অনির্বাণ লাইব্রেরী। লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র নদীর চিকিৎসায় দায়িত্বও নেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনি তার ব্যক্তিগত ও অনির্বাণ লাইব্রেরীর ফেসবুক পেইজে নদীর চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে একটি পোষ্ট করেন। ফেসবুকে মানবিক এই পোষ্টের দিকে চোখ পড়ে দেশ ও দেশের বাহিরে থাকা অনির্বাণ লাইব্রেরীর বিপুল সংখ্যাক শুভাকাংখী। তারা নদীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামে নদীর বাসায় অনির্বাণ লাইব্রেরীর পক্ষে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন অনির্বাণ লাইব্রেরীর প্রধান উপদেষ্ঠা নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল, অনির্বাণে লাইব্রেরীর উপদেষ্ঠা ও হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান, অনির্বাণ লাইব্রেরীর মডারেটর সদস্য বাদল রায়, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব, তদন্ত ওসি আল মামুন, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রতন, সাংবাদিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, কামরুল হাসান ও ছাত্রনেতা এমদাদুল হক শীতল প্রমুখ।

অনিবার্ণ লাইব্রেরীর উপদেষ্ঠা মোহাম্মদ নাহিজ জানান- কিছু দিন আগে স্কুল ছাত্রী নদীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করেন ছাত্রনেতা এমদাদুল হক শীতল। এই পোষ্টের দিকে নজর দেন সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত অর্নিবাণ লাইব্রেরীর ফেসবুক পেইজে নদীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে পুনরায় পোষ্ট দিলে ১০৮জন ব্যক্তি নদীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন। ফলে দুই বারে নদীকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে বিকেলে দক্ষিণ বড়চর(তালুকহড়াই) গ্রামে শহরের আল মদিনা আবাসিক হোটেলের মালিক মর্জিনা খাতুনের নির্মানাধীন বাসার ছাদে সহপাঠীদের নিয়ে বেড়াতে যায় নদী। ছাদে ফেলে রাখা বিদ্যুতের মেইন লাইনে স্পৃষ্ট হয় সে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেটে কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। সেখানকার চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ মে নেওয়া হয় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে গত ৪ জুন চিকিৎসকরা নদীর জীবন বাচাতে বাধ্য হয়ে দুটি পা কেটে ফেলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here