খবর৭১ঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তারা হলেন মো. আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহ।
সোমবার বিকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের আদালতে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক।
দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত এই ঘটনায় রাজধানীতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার প্রধান আসামি বাদল ও সন্দেহভাজন দেলোয়ার। এ নিয়ে এই মামলায় নোয়াখালী ও ঢাকা থেকে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা একলাশপুর ইউনিয়নের ওই ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে রবিবার গভীর রাতে মামলা করেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ। পুলিশ জানায়, এক আসামিকে রবিবার বিকাল ৪টায় এবং অন্যজনকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে ঘটনার পর ভয়ে বাড়িছাড়া নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টারপাড়ার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি গত ২ সেপ্টেম্বরের হলেও রবিবার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ উঠেছে, ভিডিওতে যারা ওই নারীকে নির্যাতন করছে তারা স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও আর সাঙ্গপাঙ্গরা।
ভাইরাল সেই ভিডিওটি রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা টাইমসের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, একদল যুবক ওই নারীকে পেটাতে পেটাতে বিবস্ত্র করে ফেলেছে। নিজের আব্রু রক্ষা করতে চেষ্টার পাশাপাশি নারী বারংবার তাদের বাবা ডেকে তাকে নির্যাতন না করার আকুতি জানান।
ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, গোপনে সাবেক স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। এরপরই একদল যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন করে। সোমবার ঘটনাটি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এর প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ হয়েছে।