ইউএনওর ওপর হামলায় আসাদুলের দায় স্বীকার

0
360
ইউএনওকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রধান আসামি আটক

খবর৭১ঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম দায় স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চুরির উদ্দেশ্যেই ইউএনওর বাসায় গিয়েছিলেন তারা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম দায় স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে সান্টু ও নবীরুলও ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন চুরির জন্য ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেয়ায় তার ওপর হামলা চালায়।

তবে র‌্যাব তাদের এই কথা বিশ্বাস করতে পারছে না। র‌্যাব বলছে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত করার পরই মূল ঘটনা জানা যাবে।

ওই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলাম, শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার সান্টু চন্দ্র দাস (২৮)।

বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা। তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে পরে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here