ডিসেম্বরেই চলতি শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তির চিন্তা, পরীক্ষা সম্ভব না হলে ‘অটোপাস’

0
333
৬ বিকল্প প্রস্তাব জেএসসি–জেডিসি পরীক্ষায়
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ শিক্ষাবর্ষ না বাড়িয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার চিন্তা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেয়া হবে। নভেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো পাস’ দেয়া হবে। এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশ টুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে। এ জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে। এর আগে ডিসেম্বরে পরীক্ষা না নেয়া গেলে শিক্ষাবর্ষ মার্চ পর্যন্তও বৃদ্ধিরও প্রস্তাবও এসেছিল।

সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠক হয়। সেখানে চলতি শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরেই শেষ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। উভয় মন্ত্রনালয় পরিকল্পনা চুড়ান্ত করে শিগগিরই আবারও আলোচনায় বসবে বলে জানা যায়।
সূত্র জানিয়েছে, নভেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব না হলে ডিসেম্বরে স্কুল-মাদ্রাসা পর্যায়ে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব রয়েছে। পরে ওই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি নির্ধারণ করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে ইতিমধ্যে রিকভারি প্লান জমা দিয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট। সেখানেও নভেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা সম্ভব না হলে অটোপাসের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চলতি শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরেই শেষ করার কথা বলেছেন। এছাড়া জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিও ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে পরিকল্পনা চুড়ান্তকরনের কাজ করছে।

তবে নভেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব না হলে ডিসেম্বরে স্কুল-মাদ্রাসা পর্যায়ে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সেটা সম্ভব না হলে মেধাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্য ধরে কারিকুলাম ও সিলেবাস মূল্যায়নের কাজ করছে নেপ। এ লক্ষ্যে তাদেরকে দু’টি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটিতে ১ সেপ্টেম্বর ক্লাস কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য ধরা হবে। আরেকটিতে ১ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here