সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ ব্যবসায়ীর কারাদন্ড

0
645
সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ ব্যবসায়ীর কারাদন্ড

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ মাদকের তালিকায় যোগ হওয়া টাপেন্টাডল বিক্রেতা দুই মাদক ব্যবসায়ীর ছয় মাসের কারাদন্ড ও প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের রায় দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.রমিজ আলম ওই দন্ডাদেশ দেন।

সৈয়দপুর থানা পুলিশের সুত্র জানায়,শহরের সিনেমা সড়কস্থ পৌর পাবলিক টয়লেট পরিচালনার আড়ালে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের তালিকায় যোগ হওয়া টাপেন্টাডলসহ বিভিন্ন মাদকের বেচাকেনাসহ নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের হাতেনাতে ধরতে সোর্স নিয়োগ করে।

আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সেই সোর্স ওই পাবলিক টায়লেটের কেয়ারটেকার সাধু ইসলামের (৬৫) কাছে টাপেন্টাডল খরিদ করে। সাথে সাথে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. খালেদ ফিরোজ নয়ন ও সহকারি উপ- পরিদর্শক নুর আমিনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সেখানে হাজির হয়। এসময় মাদক বিক্রেতা ওই পাবলিক টয়লেটের কেয়ারটেকার সাধু ইসলাম এবং সেখানে আগে থেকে উপস্থিত থাকা মাদক সরবরাহকারী জামিল হোসেনকে (৩২) আটক করে।

খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.রমিজ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তাদের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের সামনে শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুবের পুত্র ওই টয়লেটের কেয়ারটেকার সাধু ইসলাম ও নয়াটোলা এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র মাদক সরবরাহকারী জামিল হোসেনের পকেট থেকে ১০ পিস করে ২০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ট্যাবলেট বিক্রি করার নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় আটক দুজনই মাদক বেচাকেনার কথা স্বীকার করলে সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালত বসানো হয়। পরে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম ওই দুইজনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড ও ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এসময় কথা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলমের সাথে। তিনি বলেন, মাদকসংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।

সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মাদক ব্যবসায়ীর জেল জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযোগ রয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভা থেকে লীজ নেয়া ওই পাবলিক টয়লেট
পরিচালনা করার আড়ালে মাদকের বেচাকেনা করা হতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here