বানিয়াচঙ্গে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আজমিরীগঞ্জের যুবককে অপহরণ; পুলিশের অভিযান চালিয়ে উদ্ধার

0
730
বানিয়াচঙ্গে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আজমিরীগঞ্জের যুবককে অপহরণ; পুলিশের অভিযান চালিয়ে উদ্ধার
ছবিঃ মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করেছে অপহরণকারীরা। পরে অপহৃতের স্বজনরা কয়েক দফায় ২০ হাজার টাকা দিলেও ফের মুক্তিপণ দাবী করে তারা। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশ জানতে পারলে মোবাইল টেকিংয়ের মাধ্যমে বানিয়াচংয়ের ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ এর নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় প্রায় ৩ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে অপহৃত যুবক আনিছুর রহমান রাম্মি (২৪) কে উদ্ধার ও ৪ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আনিছুর রহমান আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফ নগর গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র। আটককৃতরা হল, বানিয়াচং উপজেলার জাতুকুর্ণ পাড়া মাইজের মহল্লার মৃত মোক্তাদির হোসেনের পুত্র মনির হোসেন (২৪), যাত্রাপাশা কান্দিপাড়া মহল্লার আশাদুল হকের পুত্র হেলাল মিয়া (২০), একই এলাকার সালা উদ্দিনের পুত্র জাহেদ মিয়া (২০) ও জাতুকুর্ণপাড়া মাইজের মহল্লার ধনু মিয়ার পুত্র আলমগীর মিয়া (১৯)।পুলিশ জানায়, সাথী নামে এক জনৈক মেয়ে আনিছুর রহমানকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাদে ফেলে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে তাকে কৌশলে দেখা করার কথা বলে বানিয়াচংয়ের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে আসা হয়।

পরে তাকে অপহরণ করে একটি ঘরে রাখা হয় এবং তার পরিবারের লোকজনের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে আনিছুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দুই বারে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দেয় অপহরণকারীদের। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে তারা আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ বানিয়াচং থানার (ওসি) এমরান হোসেনকে অবগত করেন। পরে বিষয়টি বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিমকে অবগত করা হয়। এর পরপরই বিষয়টি নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।

তাৎক্ষণিক মোবাইল টেকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান সনাক্ত করে ৩ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে একই সাথে আটক করা হয় ৪ অপহরণকারীকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এমন সফল অভিযানে ওই এলাকায় জনমনে স্বস্থি নেমে এসেছে। আর এতে করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম ও ওসি এমরান হোসেনের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here