বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবেঃ শেখ হাসিনা

0
456
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: শেখ হাসিনা

খবর৭১ঃ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সততা ও আদর্শ ছাড়া কোনো সফলতা আসে না। আদর্শহীন রাজনীতি করলে সাময়িক নামডাক আসতে পারে, অর্থবিত্ত হতে পারে; কিন্তু তারা দেশের কোনো কল্যাণ করতে পারে না। টিকে থাকতে পারে না।

দেশের ইতিহাসে মনে রাখার মতো কিছু করতে পারে না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শের নীতি ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও নীতি নিয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রলীগের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও গৌরব ধারণ করে সততা ও আদর্শ নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২ বছর’ স্লোগানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের মূলপর্ব শুরু হয় বেলা আড়াইটায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

সংগঠনের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মঞ্চে উঠে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। জবাবে তারাও দুই হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানান। এ সময় মুহুর্মুহু করতালি আর ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে পুরো উদ্যান মুখরিত হয়ে ওঠে।

সারা দেশ থেকে আগত সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সারা দেশে একটা সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য ও অবদান রয়েছে, সেটা প্রতিটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মনে রাখা উচিত।

এটি মনে রেখে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আচরণ, কথাবার্তা ও রাজনীতি করা উচিত। তাদের এমনভাবে আচরণ করা উচিত যাতে এ সংগঠন একটা মর্যাদাপূর্ণ হয় এবং দেশ ও জাতির কাছে আস্থা অর্জন করে চলতে পারে।

’৭৫-পরবর্তী জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে ছাত্রদের লাঠিয়াল ও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ছাত্রলীগের হাতে কাগজ ও কলম তুলে দিয়েছিলাম।

আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া সবাই ছাত্রদের হাতে অস্ত্র, অর্থ তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে তাদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, নীতি-আদর্শ নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ছাত্ররাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তারাই দেশের নেতৃত্ব দেবে। ভবিষ্যতে তারাই দেশকে পরিচালনা করবে। কিন্তু তাদের যদি বিপথে নামানো হয়, নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য তাদের (ছাত্র) ব্যবহার করা হয়, তাহলে তারা দেশকে কীভাবে নেতৃত্ব দেবে?

অতীতে সামরিক স্বৈরশাসকসহ খালেদা জিয়া ছাত্রদের বিপথে চালিত করে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসীদের জায়গায় পরিণত করেছিলেন। আমরা চাই না কোনো ছাত্র আর কোনোদিন বিপথে চালিত হোক। আমি চাই, ছাত্রলীগ যেন সবসময় নীতি বজায় রেখে রাজনীতি করে। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগকে কাজ করে যেতে হবে।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্যের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী প্রবীণ নেতা খালেদ মোহাম্মদ আলী, ’৬৯-৭০ সালে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম পুরোধা তৎকালীন ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ ও ’৭৫-পরবর্তী চরম দুঃসময়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০২০ সাল আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করব। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার। একমাত্র আওয়ামী লীগই যে পারে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে, আমরা তা জাতির সামনে প্রমাণ করেছি। তাই জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, কাজ করে যেতে হবে।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মলগ্ন থেকে ৭২ বছরে ছাত্রলীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ ও নেতৃত্বেই ফজলুল হক হলে সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন- ‘ছাত্রলীগের ইতিহাসই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন আমার বাবা জেলে থাকতেন, তখন ছাত্রলীগ সব সময় যোগাযোগ রাখত মায়ের সঙ্গে এবং তিনি নির্দেশনা দিতেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্রলীগ কাজ করত।’ শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগ ছয় দফা এবং সেই সঙ্গে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা, ১১ দফা নিয়ে যে সংগ্রাম, আগরতলা মামলা প্রত্যাহারে আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে ছাত্রলীগ ছিল সবচেয়ে সক্রিয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যসব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলে। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাঙালির ইতিহাস। ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, অবদান, তা ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর মনে রাখা উচিত।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্বদানকারী সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পরিচয় করিয়ে দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখককে ভারমুক্ত ঘোষণা করে তাদের ছাত্রলীগের পূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্রলীগের নিজস্ব পরিবেশনায় ‘ধনে ধানে পুষ্পভরা, আমার এ বসুন্ধরা,’ পুরনো দিনের কথা বলবি কিরে আয়’, ‘এই বাঙালির লাইগা ঝরলো কতো প্রাণ’, ‘বাংলাদেশর বুকে মুজিব রবে চিরকাল’সহ উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সাংস্কৃতিক উপকমিটির সহ-সম্পাদক জসিম উদ্দিন পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা স্বরচিত গান। এ সময় শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংক্ষিপ্ত নাটিকা ছাড়াও প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরে ছাত্রলীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম, সাফল্য নিয়ে নির্মিত একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দেশাত্মবোধক গানের সময় নিজেও গানের সঙ্গে সুর মেলান ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঞ্চে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। উত্তরীয় ও ব্যাজ পরিয়ে দেন ইশাত কাসফিয়া ইরা, বেনজির নিশি, জেসমিন শান্তা। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ ক্রেস্ট তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম, ইসমত কাদির গামা, বাহালুল মাজনুন চুন্নু, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, আবদুল মান্নান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, আবদুর রহমান, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, একেএম এনামুল হক শামীম, ইসহাক আলী খান পান্না, বাহাদুর বেপারি, অজয় কর খোকন, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, এসএম জাকির হোসাইন।

সুনাম ক্ষুণ্নকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর প্রয়োজন নেই : সংগঠনের অতীত গৌরব, সুনাম ক্ষুণ্নকারী নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগে প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যে কোনো কারণে হোক ছাত্রলীগের সুনাম কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সুনাম ক্ষুণ্নকারী ছাত্রলীগ কর্মীর প্রয়োজন নেই। যারা আবরার হত্যায় জড়িত, সেই ছাত্রলীগ কর্মীর প্রয়োজন নেই। যারা রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে অপমান করেছে, সেই ছাত্রনেতা আমাদের প্রয়োজন নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ছাত্রলীগের হারিয়ে যাওয়া ভাবমূর্তিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। আসুন, আমাদের নেত্রীর শুদ্ধি অভিযানে শুদ্ধ হয়ে নয়া উৎসর্গীকৃত চেতনার ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনি।

সিটি নির্বাচনে ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে : ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের জন্য ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এত বড় প্যান্ডেলে ছাত্রলীগের হাজারও সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মী। তাদের কাছে আমি অনুরোধ করব, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য আপনারা কাজ করবেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা হয় না, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি রাষ্ট্রনায়ক। আসুন আমরা সবাই তার নেতৃত্বে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

নেতারা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করলে দায় নেবে না ছাত্রলীগ : নেতাকর্মীরা দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোনো কাজ করলে এর দায়ভার সংগঠন নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নেত্রীর আদেশ, গঠনতন্ত্র, সংগঠনের নির্দেশনা পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেন না। দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, কেন্দ্রের নির্দেশনা পরিপন্থী কোনো কাজে জড়িত হলে এর দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়-অবিচার করা হলে ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেয়া হলে তাদের রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রাণের উচ্ছ্বাস : উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতেছিল সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সাংগঠনিক ইউনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটার মাধ্যমে চলতে থাকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। তবে পুনর্মিলনীর জন্য এবার কেন্দ্রীয়ভাবে র‌্যালি করেনি সংগঠনটি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here