কলাপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাতে শত শত জেলেরা জিম্মি

0
457
কলাপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাতে শত শত জেলেরা জিম্মি
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ

রাকিব হাসান, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ নদী ও কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্রের সীমানা হতে বঙ্গোপসাগরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট ট্রলার নিয়ে জেলেরা দীর্ঘ বছর ধরে মাছ ধরে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা প্রতি ট্রলার থেকে টাকা তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

জেলেরা টাকা দিতে আপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের হাতে নির্যাতন সহ জাল ও ট্রলার কেড়ে নেয়া হয় বলেও জানা যায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রামনাবাদ নদীর চড় বালিয়াতলী ও চড় ধুলাসাড়ের ডোসের মোহনাসহ বঙ্গোপসাগরের একটি নির্দিষ্ট সীমানায় দীর্ঘ বছর ধরে ট্রলার নিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করে আসছে। গত র্মাচ ও এপ্রিল থেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের বছরে ট্রলার প্রতি ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে।

বাদ্ধতামূলক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তাদের দিতে হয়। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে অপমান ও অপদস্থ হতে হয়। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করে তাদের জাল ও ট্রলার কেড়ে নেয়া হয়, এমনকি নদীতে তার মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়া হয়। নদীর একটি নির্দিষ্ট স্থান একটি ট্রলারে জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। যারা টাকা তুলছে তাদের ভয়ে জেলেরা মুখ খুলতে পারছে না। স্থানীয় একাধিক জেলে সংবাদকর্মীদের নিকট তাদের আক্ষেপ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, নদীতে মাছ ধরার জন্য টাকা দিতে হয় একথা আমার জীবনেও শুনিনি।

কিন্তু গত এক বছর ধরে নদীতে মাছ ধরার বিনিময়ে নির্দিষ্ট স্থানের জন্য ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী নেতাদেও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। অন্যথায় মাছ ধরায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিবান্ধকতা এমনকি জাল ও ট্রলার নিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও তারা করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন আরৎদার জানান,বিগত কয়েক মাস আগে উক্ত নদীতে মাছ ধরার বিনিময় আমার নিকট টাকা দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা আমার ট্রলার ও জাল জিম্মি করে। পরে অনেক দেনদরবার করে তা ছাড়িয়ে আনি। এরপর হতে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি।

সরকারী নদীতে টাকা দিয়ে মাছ ধরবো কেন। তাই আপাতত মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার মনোজ সাহা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। মৎস্যজীবীরা যদি অভিযোগ করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here