সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানের অর্থদন্ড

0
394
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের তেল ও ডালডা দিয়ে তৈরী করা হয় লাচ্ছা সেমাই।

মিজানুর রহমান মিলন,
সৈয়দপুর (নীলফামারী):
সৈয়দপুরে নিম্নমানের তেল ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে লাচ্ছা উৎপাদন বেড়েই চলেছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী রমজান মাসকে উপলক্ষ করে বেশী মুনাফার আশায় কোন অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তুলেছে ওইসব লাচ্ছা ফ্যাক্টরি। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে তারা শহরের বাইরে গড়ে তোলা ওইসব ফ্যাক্টরির উৎপাদিত লাচ্ছা সেমাই সৈয়দপুরসহ আশেপাশের জেলা উপজেলার বাজারগুলোতে সরবরাহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বাহারি মোড়ক ও খোলা লাচ্ছা সেমাই বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। ফলে সচেতন মহলের পক্ষে এমন অভিযোগ আসে উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। অভিযান চলাকালে আদালত শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে খাজা লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরির হায়দার আলীর ১০ হাজার টাকা, একই এলাকার টেস্টি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরির জামালের ১০ হাজার ও নিয়ামতপুর এলাকায় স্পেশাল তাজা লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরির মাহাতাব আলীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওইসব এসময় আদালত তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন। একইদিন মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রিংকস নালায় ফেলে দূর্গন্ধ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের দায়ে মুন্সিপাড়ার জাবেদের পাঁচশত টাকা,ও নিষিদ্ধ পণ্য বাজারজাত করার দায়ে আহমেদ মুদি দোকানির পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে হাইকোর্ট কর্তৃক বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত নিম্নমানের ৫২ টি পণ্য বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং মানুষজনের মাঝে সচেতনতা সৃস্টি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারের নেতৃত্বে শহরে প্রচারণা চালানো হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ ব্রেড,বিস্কুট ও কনফেশনারি প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি মো. আকতার সিদ্দিকী পাপ্পুর সাথে। তিনি বলেন অধিক লাভের আশায় অনুমোদন ছাড়াই কিছু ব্যবসায়ী নিয়মনীতি না মেনে লাচ্ছা উৎপাদন করছে। তাদের কারণেই অনুমোদন নিয়ে লাচ্ছা উৎপাদন করা প্রতিষ্ঠান মালিকরাও সমস্যায় পড়ছে। এজন্য আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি।
এব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারের সাথে। তিনি বলেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাত, পরিবেশনকারিদের কোন ক্রমেই ছাড় দেয়া হবেনা। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here